ডেস্ক রিপোর্ট : নতুন বছরের নতুন ছবি ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হির’। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি মুক্তি পাবে এই ছবি। আর এই ছবির মাধ্যমেই বলিউডের নতুন ‘প্লে ব্যাক’ শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন, ‘প্ল্যাটফর্ম সিঙ্গার’ খ্যাত রানু মণ্ডল।

এই ছবির প্রচারে গতকাল বৃহস্পতিবার কলকাতায় গিয়েছিলেন নায়ক-গায়ক হিমেশ রেশমাইয়া। সেখানকার একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন, ‘রানুদির টানেই কলকাতায় ছুটে এসেছি।’ যদিও ওই সংবাদ সম্মেলনে রানু মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন না বলে জানিয়েছে বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

এর আগে হিমেশ রেশমাইয়া তাঁর ছবির প্রচারণার জন্য মহারাষ্ট্রের পুনে, গুজরাতের সুরাত, বড়োদরা, আহমেদাবাদ, মেহসানাতে ছবির প্রচারণার জন্য ঘুরেছেন। ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হির’ ছবির গল্প তাঁর লেখা। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ছবির সংগীত পরিচালকও তিনিই।

আগামী ৩ জানুয়ারি মুক্তি পাবে হিমেশের নতুন সিনেমা হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হির। এই ছবির জন্য দিন গুনছেন তিনি। কেননা, এই ছবি নিয়েই বহুদিন ধরে স্বপ্ন দেখে গিয়েছেন হিমেশ রেশমাইয়া। বেশ কিছুদিন বিরতির পর আসছে তাঁর নতুন কোনো ছবি। এই ছবির জন্য দুই বছর সব রকম কাজ থেকে ব্রেক নিয়েছিলেন। গায়ক এবং নায়ক হিসেবে নিজেকে তৈরি করেছেন। নতুন গান লিখেছেন। সর্বোপরি তাঁর হাত ধরেই শিল্পী রানু মণ্ডলের বলিউডে উত্থান।

যথারীতি সংবাদ সম্মেলনে রানু মণ্ডলের প্রসঙ্গটিই সবার আগে চলে আসে। রানু মণ্ডলকে নেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আশাজির মতো কণ্ঠস্বর খুঁজছিলাম। সবাই তখন আমাকে বলেছিলেন পপের যুগে এসব পাওয়া যাবে না। তখনই একদিন টেলিভিশনের একটি শোতে রানুদির গান শুনি। ঠিক করি ওনাকে দিয়েই গাওয়াব। এরপর রানুদির সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমার স্টুডিওতে এসে কদিন তালিমের পর রেকর্ডিং হলো। তবে হেডফোন নিয়ে ওনার একটু সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু রানুদি খুবই দরদ দিয়ে গান গেয়েছেন। বলতে পারেন রানুদির টানেই আমার কলকাতায় ছুটে আসা।’

নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় রানুর গাওয়া গান শেয়ার করার পর ভিউয়ার্সের সংখ্যা দেখে নিজেই চমকে গিয়েছিলেন বলেও যোগ করেন হিমেশ রেশমাইয়া।

সংবাদ সম্মেলনে হিমেশ আরও জানান, ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হির’ ছবিটি রোমান্টিক কমেডি ধাঁচের। তাঁর ভাষায়, খুব সুন্দর একটা ভালোবাসার গল্প রয়েছে। আর এই ভালোবাসার অংশের গান গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকরের গান গেয়ে রাতারাতি তারকা বনে যাওয়া রানু মণ্ডল। রানুর গলার সেই গান এখন সর্বত্র জনপ্রিয়। নতুন শিল্পীদের জন্য হিমেশ পরামর্শ দিলেন, ‘পরিশ্রম করুন। সবার জন্যই একদিন সঠিক প্ল্যাটফর্ম আসবে। যেমন রানুদি পেলেন।’

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা রানু মণ্ডল। ১৯৬৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর জেলার কার্তিকপাড়া গ্রামে তাঁর জন্ম। বাবা আদিত্য কুমার। তিনি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছিলেন। একেবারেই শৈশবেই মা–বাবাকে হারান রানু মণ্ডল। বড় হয়েছেন অন্যের বাড়িতে। রানাঘাট স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসে লতা মঙ্গেশকরের ‘এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যায়’ গানটি গেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রাতারাতি আলোচিত হন রানু মণ্ডল। এরপর তাঁকে দিয়ে ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হির’ ছবিতে গান করিয়েছেন হিমেশ রেশমিয়া।

রানুকে দিয়ে গান রেকর্ড করার ব্যাপারে হিমেশ রেশমিয়া সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘সালমান (খান) ভাইয়ের বাবা সেলিম খান চাচা আমাকে একবার বলেছিলেন, “জীবনে যখনই কোনো প্রতিভাবানের খোঁজ পাবে, তখন তাঁর প্রতিভার বিকাশের জন্য সাহায্য করবে”।’ রানুকে দিয়ে গান রেকর্ড করিয়ে সালমানের বাবার দেওয়া সেই উপদেশের সদ্ব্যবহার করলেন বলে জানিয়েছেন হিমেশ।

এখন রানু মণ্ডল ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোতে খুব আলোচিত ব্যক্তিত্ব। প্রায় প্রতিদিন তাঁকে নিয়ে অন্তত একটি খবর থাকা চাই। কারণ রানু মণ্ডলের ব্যাপারে রয়েছে পাঠকদের দারুণ আগ্রহ।

P/B/A

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে