ডেস্ক রিপোর্ট : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশের রপ্তানির পরিমাণ ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণের বিকল্প নেই।
রপ্তানীকারকদের নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধানের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, গত অর্থবছরে ৩৪.২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি হয়েছে, এ বছর রপ্তানি হবে ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাণিজ্যমন্ত্রী বুধবার ঢাকায় পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশ (পিআরআই) আয়োজিত ‘ট্রেড এন্ড এক্সচেঞ্জ রেট পলিসাইজ ফর এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশ এখন বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে। সেসব দেশে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে। বিশ্বের যেখানেই বাংলাদেশী পণ্যের চাহিদা রয়েছে, সেখানেই যেতে হবে। রপ্তানিকারকদের এ জন্য আরো বেশি তৎপর হওয়া প্রয়োজন। শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে খুব ভালো অবস্থানে রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি এবং ঔষধ রপ্তানি ক্ষেত্রে উজ্জল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, এলডিসিভুক্ত দেশ উন্নত দেশে ঔষধ রপ্তানির ক্ষেত্রে শর্ত শিথিলের মেয়াদ আগামী ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। বাংলাদেশের সে সক্ষমতাও রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে অগ্রাধীকারভুক্ত আইটি, ঔষধ, ফার্নিচার, জাহাজ নির্মাণ, চামড়া, জুট পণ্য এবং কৃষিপণ্য খাতের রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশের অর্থনীতি এখন দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, সকল অর্থনৈতিক সূচক এখন উর্ধ¦মূখী। চলমান অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে হবে উন্নত বাংলাদেশ। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়। যারা একসময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি, দরিদ্র দেশের মডেল বলতেন, আজ তারাই বাংলাদেশকে বলছেন, উন্নয়নের রোল মডেল।
পিআরআই’র চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই’র ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদেক আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন বিশ^ব্যাংকের লিড ইকনোমিষ্ট এন্ড কান্ট্রি সেক্টর কো-অর্ডিনেটর ড. জাহিদ হোসেন, বিজিএমই’র প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি কারকদের প্রতিনিধি মো. সাইফুল ইসলাম এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ. মনসুর।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে