নতুন নকিয়া ৩৩১০

ডেস্ক রিপোর্টঃ জন্মের ১৭ বছর পর পুনর্জন্ম হল বহুল বিক্রিত, ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া মোবাইল ফোন সেট নকিয়া ৩৩১০। ২০০৫ সালে উৎপাদন বন্ধ করার আগে এই মডেলের সাড়ে বারো কোটির বেশী ফোন সেট প্রস্তুত করেছিল নকিয়া।

নকিয়ার পুনরুৎপাদিত এই সংস্করণটি বিক্রি হবে ফিনিশ স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান এইচএমডি গ্লোবালের লাইসেন্সের আওতায়। তারা নকিয়ার কিছু অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণও বাজারে ছেড়েছে। এক কথায় বাজার থেকে প্রায় হারিয়ে যাওয়া এককালের জনপ্রিয় মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড নকিয়া আবারো সদর্পে বাজারে ফিরেছে।

নতুন এই নকিয়া ৩৩১০টি যে সেই পুরনো ৩৩১০ এর মতো হুবহু থাকছে তা নয়। অবশ্য পুরনো ফোনটির আকৃতি-সহ বেশীরভাগ জনপ্রিয় বৈশিষ্ট্যই রাখা হয়েছে অক্ষুণ্ণ, তবে সাধন করা হয়েছে উন্নয়ন।

এই ফোনটিতে স্মার্টফোনের কিছু বৈশিষ্ট্য থাকলেও এটি মূলত একটি ফিচার ফোন। এতে সীমিত আকারে ইন্টারনেট ব্যাবহার করা যাবে। রয়েছে একটি মাত্র ক্যামেরা যা ২ মেগাপিক্সেল ক্ষমতার।

পুরনো নকিয়া ৩৩১০
                              পুরনো নকিয়া ৩৩১০

অবশ্য পুরনো ৩৩১০-এ কোন ক্যামেরাই ছিল না। সেই আমলে মানুষ মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটও ব্যাবহার করতে পারত না। তবে এটির ব্যাটারির ক্ষমতা সেই আগের মতোই। প্রস্ততকারকদের বক্তব্য, একবার পুরো চার্জ দিলে এটির ব্যাটারি এক মাস পর্যন্ত স্ট্যান্ডবাই থাকবে। আর কথা বলা যাবে টানা ২২ ঘণ্টা।

নতুন ৩৩১০ এর পর্দা রঙিন। পুরনো ৩৩১০ এর পর্দা ছিল সাদাকালো। এটিতে রয়েছে সেই জনপ্রিয় ‘স্নেক’ গেমটিও। তবে ক্লাসিক সংস্করণ নয়, ৩৩১০ এ খেলা যাবে স্নেক-এর আধুনিক সংস্করণ। ৩৩১০ এর পুনরুৎপাদনের মাধ্যমে যে কায়দায় বাজারে ফিরল নকিয়া সেটাকে একজন বিশেষজ্ঞ বর্ণনা করেছেন ‘দারুণ উপায়’ হিসেবে।

প্রযুক্তি বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সিসিএস ইনসাইটের বেন উড বলেন, “৩৩১০ ছিল প্রথম বহুল-বিক্রিত মোবাইল এবং এর জন্য মানুষের রয়েছে ব্যাপক নস্টালজিয়া”। “এইচএমডি যদি শুধুমাত্র তিনটি অ্যান্ড্রয়েড চালিত ফোন বাজারে ছাড়ত তাহলে তাদের জন্য পত্রিকায় এক কলাম ইঞ্চি জায়গাও থাকতো কিনা সন্দেহ”।

বি/বি/সি/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে