ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের একজন নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতারের পর আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই সংগঠনেরই আরেকজন নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে তার সাতজন দেহরক্ষীসহ আটক করেছে।

পুলিশের বিশেষ বাহিনী র‍্যাব বলছে, রাজধানী ঢাকার নিকেতনে যুবলীগের কেন্দ্রীয় এই নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীম, যিনি জি কে শামীম নামে পরিচিত, তার কার্যালয়ে ও বাড়িতে শুক্রবার সকাল থেকে অভিযান চালানো হয়।

র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে এই তল্লাশি চালানো হয়। অভিযান চলাকালেই বিবিসি বাংলাকে তিনি জানান, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় সম্পাদক জি কে শামীম। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতিও তিনি।

অভিযান শেষে বিবিসি বাংলাকে তিনি জানিয়েছেন, টেণ্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে জি কে শামীমকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে বিদেশে অর্থ পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান।

জি কে শামীম এখন র‍্যাবের হেফাজতে রয়েছেন। মি. আলম বলেন, শুক্রবার রাতে, বড় জোর আগামীকালের মধ্যেই তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হবে।

তিনি বলছেন, অভিযান চালিয়ে তারা জি কে শামীমের বাড়ি ও অফিস থেকে নগদ প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা এবং ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর বা আমানতপত্র জব্দ করেছেন। এসময় মদ ও অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।

“অস্ত্রগুলোর বৈধ লাইসেন্স রয়েছে কিন্তু এসব অস্ত্র দিয়ে অবৈধ কাজ হতো বলে তাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে,” বলেন মি. আলম।

B/B/C/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে