করোনা সংক্রমণ রোধে বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে চলাচলে দ্বিতীয় দফার বিধিনিষেধ শুরু হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে রাজধানীর বাস টার্মিনাল এবং শহরের প্রবেশমুখগুলোতে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে। তবে মহাখালী বাস টার্মিনালের চিত্র ব্যতিক্রম। এখানে যাত্রীদের ভিড় নেই। কোনো বাসও টার্মিনাল থেকে বের হচ্ছে না।

টার্মিনাল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অনেকেই বাড়ি ফেরার জন্য এই টার্মিনালে আসছেন। তবে দূরপাল্লার কোনো বাস না ছাড়ায় এখানে যাত্রীদের ভিড় নেই। তবে উত্তরাঞ্চলের অনেক যাত্রী এই টার্মিনালে নির্দিষ্ট গন্তব্যের বাস না পেয়ে গাজীপুরগামী সিটি বাসে উঠছেন। সেখান থেকে ভিন্ন কোনো উপায়ে গন্তব্যে যাবেন।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সরেজমিনে দেখা যায়, মহাখালী বাস টার্মিনালে সারিবদ্ধভাবে দূরপাল্লার কয়েকশ বাস পার্কিং করে রাখা হয়েছে। টার্মিনালের ভেতর জায়গা না পেয়ে অর্ধশতাধিক বাস সড়কের উপরেই পার্কিং করা হয়েছে। টার্মিনাল থেকে বের হওয়ার মুখে কংক্রিট এবং বাঁশ দিয়ে বেড়া দেয়া। কোনো বাসে যাওয়ার জন্য যাত্রী বা চালকের সহকারীদের দেখা যায়নি। তবে কিছুক্ষণ পরপর ঘরমুখো মানুষকে এই টার্মিনালে আসতে দেখা গেছে।

ময়মনসিংহ যাওয়ার উদ্দেশ্যে ফার্মগেট থেকে মহাখালী টার্মিনালে এসেছেন শাহীনা খাতুন। কিন্তু টার্মিনালে এসে বাস না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।

শাহীনা বলেন, তিনি মনিপুরীপাড়ার কয়েকটি বাসাবাড়িতে কাজ করেন। কিন্তু করোনার এই সময়ে কাজে যেতে বাড়ি মালিকরা নিষেধ করেছেন। লকডাউন যতদিন থাকবে ততদিন কাজও বন্ধ থাকবে। এ অবস্থায় ঢাকায় থাকার সুযোগ নেই। তাই গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন।

মহাখালী বাস টার্মিনালের নিরাপত্তাকর্মী সোহেল রানা বলেন, ‘গত সপ্তাহ থেকে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সে অনুযায়ী মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছাড়ছে না। বাস চালকরাও বিভিন্ন উপায়ে গ্রামে চলে গেছেন। যতদিন লকডাউন থাকবে ততদিন এই টার্মিনাল থেকে বাস ছাড়বে না।’

JA/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে