যক্ষ্মা প্রতিরোধ ও নির্মূলে বাংলাদেশ সরকার বদ্ধপরিকর। এজন্য যক্ষ্মা নির্মূলে সংসদ সদস্যরা (এমপি) জনসচেতনতা তৈরির মাধ্যমে ভূমিকা রাখতে পারেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা এক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরি, তামাক ও ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনগণকে সতর্ক করার মাধ্যমে ভূমিকা রাখতে পারেন। ইতোমধ্যে সংসদ সদস্য ও চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি দল তামাকবিরোধী প্রচারণায় কাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ’

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ইউএসএইড’স এলায়েন্স ফর কমব্যাটিং টিবি ইন বাংলাদেশের (এসিটিবি) উদ্যোগে ‘এসিলারেটিং এফোর্টস টু অ্যান্ড টিউবারকোলোসিস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক পরামর্শ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার লক্ষ্যগুলোর মধ্যে মাতৃমৃত্যু হ্রাস, শিশুমৃত্যু হ্রাস, শিশুর টিকা প্রদান ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে। যক্ষ্মা সম্পূর্ণ নির্মূলে এসিটিবি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে পরামর্শক্রমে সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে যক্ষ্মা প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে পারে।

আইসিডিডিআরবির সিনিয়র বিজ্ঞানী ড. সায়েরা বানুর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরমা দত্ত এমপি বক্তব্য রাখেন।  

কর্মশালায় ডা. শাহরিয়ার ও আইসিডিডিআরবির অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে