বিশেষ প্রতিনিধি  : “ভূমিদস্যু টেন্ডারবাজ সাংসদের যতো অনিয়ম ও দূর্নীতি” মোঃ আব্দুল হাই ঝিনাইদহ- ১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য। কোনো ধরনের ব্যাবসা না থাকা স্বত্বেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পরেই টাকার কুমির বনে গেছেন তিনি। শুধু মাত্র সংসদ সদস্যকে পুঁজি করে অবৈধ ভাবে ভূমি দখল, টেন্ডার বাজি, বিভিন্ন অনিয়ম ও নানা ধরনের দূর্ণীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। যার মধ্যে শৈলকূপা পৌর এলাকার উমেদপুর ইউপি কার্যালয়ের জন্য দান কৃত ৩০০০০০০০০/ তিন কোটি টাকা মূল্যের জমি তিনি ৫৫০০০০০/ পঞ্চান্ন লক্ষ টাকা নির্ধারন করে বিশ লক্ষ টাকা দিয়ে বায়না পত্র করে নেন। যাহা ১৭/১১/২০১৬ ইং তারিখে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তিনি ঝিনাইদহ ও শৈলকূপার সমস্ত সরকারি কাজের টেন্ডার তাঁর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কয়েকটি কোম্পানির মাধ্যমে সম্পাদন করে থাকেন।

 যাহার মধ্যে জিসান ট্রেডার্স, মোল্লা এন্টারপ্রাইজ, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ, প্রমা এন্টারপ্রাইজ ও জহুরুল ইসলাম (জেভি) অন্যতম।  তাহার সিন্ডিকেটের বাইরে বাইরে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধা মুক্তার আহমেদ মৃধা(৬৫) একটি টেন্ডারে অংশ নেয় এবং চার কোটি টাকার কাজ পান। পরবর্তীতে মোঃ আব্দুল হাই তাহার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে মুক্তিযুদ্ধা মোক্তার আহমেদ মৃধা ও তাহার ছেলে মোঃ মোর্শেদ মৃধাকে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে, যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে ও দেশব্যাপি ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করে। মোঃ আব্দুল হাই ঝিনাইদহ-১ শৈলকূপা আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে  জৈনিক আনোয়ার পাশাকে ঘুষ দেন। যাহা ০৬ জুলাই ২০১৭ খ্রিস্টাব্দ তারিখ কক্সবাজারের রামু থানার পুলিশের কাছে আটক আনোয়ার পাশা স্বীকার করেন যাহা বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার করা হয়।

সরকারের খাদ্য গুদামের চাউল টন প্রতি ২-৪ হাজার টাকা, ধান টন প্রতি ২ হাজার টাকা, গম টন প্রতি ৫ হাজার টাকা হারে তাকে কমিশন দিতে হয়। প্রাইমারী স্কুল শিক্ষক থেকে শুরু করে পুলিশের কনস্টেবল পর্যন্ত নিয়োগ সুপারিশে তাকে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয়। উপজেলার ১৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬২ টি বিদ্যালয়ে জন প্রতি ৫-৭ লক্ষ্য  টাকার বিনিময়ে তিনি নাইট গার্ড নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি বাগুটিয়া জরিপ বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহীদুন্নবী কালুকে সরিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিএনপির সাবেক সংসদ ও উপযেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওহাবকে মনোনীত করেন। শৈলকূপা দুঃখী মাহমুদের ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ নিয়োগে তিনি ১৫০০০০০/ (পনের লক্ষ্য) টাকা নিয়েছেন যা এলাকার সবাই জানেন। যদিও তাহার নির্দিষ্ট কোন আয় বা পেশা নেই তিনি শুধুমাত্র প্রভাব বিস্তার করে  সিন্ডিকেটের মাধ্যমে টেন্ডার বানিজ্য, নিয়োগ বানিজ্য, কমিশন ও ঘুষের কোটিকোটি টাকার সম্পদের নামে-বেনামে মালিক হয়েছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে