আসাদ হোসেন রিফাত,লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নে, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কে স্যার বলে সম্বোধন না করায় একজন সিনিয়র সাংবাদিকের উপর তেরে আসলেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমু। 
রোববার দুপুর একটায় এই ঘটনাটি ঘটেছে ওই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের ভিতরে। প্রাণঘাতী করোনায় ঘরবন্দি অসহায় ক্ষুধার্ত মানুষদের খাবারের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের খবর জানার জন্য টেলিভিশন সাংবাদিক এবং লালমনিরহাটনিউজ24 এর  সম্পাদক ও প্রকাশক মেহেদী হাসান জুয়েল তার ক্যামেরাপারসন সহ ওই স্থানে যায়। সেখানে অস্পষ্ট রিলিফের টোকেনে ঠিকানাবিহীন নাম দেখতে পাওয়ায় চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমুর কাছে ঘটনাটি জানতে চান এবং বলেন এখানে রহিম নাম লেখা আছে,সিলটা অস্পষ্ট। চেয়ারম্যান বলেন এটা রহিম চৌকিদার হতে পারে। এরপর সাংবাদিক জুয়েল টোকেনের অস্পষ্ট সিল দেখে বলেন, মনে হচ্ছে এটা ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য লেখা। প্রতিউত্তরে চেয়ারম্যান বলেন এটা তাহলে রহিম মেম্বার বলতে পারবে। এরপর সাংবাদিক বলেন, রহিম মেম্বার কে ডাক দিন,তাকেই জিজ্ঞেস করি। আর এই টোকেনটা আমি নিয়ে যাব।দেখি মেম্বার কোথায়, বলে অফিস থেকে বেড়িয়ে ত্রাণ বিতরনের স্থানে যান।একটু পর ফিরে এসে আংগুল তুলে বলেন, আপনি রহিম কে স্যার না বলে নাম ধরে ডাকলেন কেন?প্রতি উত্তরে সাংবাদিক বলেন, কাকে স্যার বলবো? চেয়ারম্যান বলেন, রহিম মেম্বার কে।সাংবাদিক জুয়েল বলেন, কেন,আমি আপনাদের চাকুরী করি নাকি, যে মেম্বার কে স্যার বলতে হবে?এরপর সাংবাদিক জুয়েল সদর  ইউএনও কে ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে অযথা তর্কে না জড়িয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পথে ত্রাণ না পাওয়া ব্যক্তিরা তাকে ঘিরে ধরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ত্রাণ চুড়ির কথা বললে সাংবাদিক জুয়েল সংগে সংগে তাদের নিয়ে লাইভ করেন,এবং সেটি মুহুর্তে সারা দেশে ভাইরাল হয়ে যায়।বিষয় টি লালমনিরহাট এবং ঢাকায় অবস্থানরত সাংবাদিকেরা নিন্দা জানিয়ে স্ট্যাটাস দেন।বর্তমানে বিষয় টি লালমনিরহাটে টক অব দ্য টাউনে পরিনত হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে