বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে সংসদ ভবন চত্বরে বৃক্ষ রোপণ অব্যাহত রয়েছে।
এক কোটি বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এর ধারাবাহিকতায় সংসদ ভবন চত্বরে আজ বৃক্ষরোপণ করেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী এমপি, বেনজীর আহমদ এমপি এবং মো. আফতাব উদ্দিন সরকার এমপি।
বৃক্ষরোপন শেষে মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ মুজিববর্ষে বৃক্ষের চারা রোপণ। একটি দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য বৃক্ষ রোপণ গুরুত্বপূর্ণ। দেশে কোন মানুষ গৃহহীন থাকবেনা। চরাঞ্চল থেকে শুরু করে প্রতিটি এলাকা থাকবে সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা। দেশে বনায়ন ছিল মোট ভূমির ৭ অংশ এখন বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৭ অংশ যা বর্তমান সরকারের একটি বিশেষ সাফল্য।
আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী বলেন, দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি অধিক গুরুত্ব পেয়েছে। তার নির্বাচনী এলাকায় তাল গাছ লাগানোর প্রতি আগ্রহীদের প্রশংসা করেন তিনি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে পাড়া, ক্লাব, এনজিও ইত্যাদি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এক লাখ গাছ লাগানোর কার্যক্রম চলমান আছে। ইতোপূর্বে দুই লাখ ষাট হাজার বৃক্ষ রোপণ করে বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন বলে তিনি জানান।
বেনজীর আহমদ বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার উপাদান হিসেবে গাছ প্রকৃতির এক বিশেষ অবলম্বন। তিনি বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্মরণ করেন। রমনা রেসকোর্স ময়দানে নারকেল গাছ লাগিয়ে বঙ্গবন্ধু সবুজায়নের সূচনা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ অফিস-আদালতে, কৃষি ভূমিতে এবং সংসদ ভবন চত্বরেও গাছ লাগানো হচ্ছে।
মো. আফতাব উদ্দিন সরকার বলেন, সংসদ ভবন এলাকায় যে বৃক্ষ রোপণ করা হচ্ছে পরবর্তী প্রজন্ম এর সুফল পাবে। তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকায় পঁচিশ হাজার বৃক্ষরোপণ করেছেন বলে উল্লেখ করেন।
BSSN
