milk-vita

বিডি নীয়ালা নিউজ(৯ই মে১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ রাষ্ট্রায়ত্ব দুগ্ধ উৎপাদনকারী সংস্থা মিল্ক ভিটার প্যাকেট নকল করে ভেজাল দুধ বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন সমবায় মন্ত্রী মসিউর রহমান।

ভেজাল দুধ উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ বন্ধে অভিযান চালানোর জন্য একটি আইনী প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে মিল্ক ভিটা।

সমবায়ের মাধ্যমে নিজস্ব খামারীদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করে বাজারজাত করে মিল্ক ভিটা।

মিল্ক ভিটার চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন জানান, সম্প্রতি ভেজাল দুধ তৈরির কিছু অভিযোগও তাদের কাছে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, “মিল্ক ভিটার প্যাকেটের ডিজাইন প্রায় ৯০ শতাংশ নকল করে বাজারে দুধ বিক্রি হচ্ছে এ সংক্রান্ত অভিযোগ আছে। ভেতরে দুধের কি কোয়ালিটি আছে সেটা বিএসটিআই পরীক্ষা করে বলতে পারবে আসলেই দুধে ভেজাল আছে কিনা। আমরা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। যারা ট্রেডমার্ক এপ্রুভাল দেন তারা পরীক্ষা করে জানাবেন আদৌ অনুমোদন আছে কিনা”।

তিনি জানান যে, “এখন পর্যন্ত ফিল্ডে গিয়ে তিনি হাতেনাতে কাউকে ধরতে পারেননি। তবে লোকমুখে যে ধরনের অভিযোগ শুনেছি আর যেটা বুঝা যায়- যে এলাকায় ঘোষ সম্প্রদায়ের লোক বেশি থাকে সে এলাকা থেকে ভেজাল দুধ বানানোর উপকরণ আসে। কারণ ঘোষরা ছানা তৈরি করার পর যে পানি থাকে সে পানি দিয়ে সাথে শ্যাম্পু, সয়াবিন, চিনি, ভেজিটেবল ফ্যাট, এসব ব্যবহার করে ভেজাল দুধ উৎপাদন করে। এক লিটার ভেজাল দুধ তৈরিতে হয়তো ১০-১৫ টাকা খরচ হয়,কারণ পানিটাতো তারা বিনা পয়সায় পাচ্ছে। কিন্তু এই ভেজাল দুধ তারা ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি করতে পারছে”।

কিন্তু মিল্ক ভিটা নিজস্ব খামারীদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করে বাজারজাত করে।

সারা বাংলাদেশে ৪৩টা সেন্টার আছে মিল্ক ভিটার। সেখানে অত্যাধুনিক মিল্কঅ্যানালাইজার মেশিন আছে, সেটা দিয়ে পরীক্ষা করেই পরে পুরো বাংলাদেশে দুধ বাজারজাত করে মিল্ক ভিটা।

মিল্ক ভিটার চেয়ারম্যান বলেন, সংস্থাটি সরকারের অংশ আছে তাই সরকারের সহায়তায় র‍্যাব, পুলিশ ও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালাতে চান তারা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে