trump

আন্তর্জাতিক রিপোর্টঃ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। এরই মধ্যে নতুন জরিপে দেখা যাচ্ছে হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে ট্রাম্পের যে ব্যবধান ছিল তা কমে গেছে।

রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসী ও মুসলিমদের বিষয়ে নেতিবাচক বক্তব্যের কারণে এরই মধ্যে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছেন এবং মুসলিম জনগোষ্ঠী ও অভিবাসীসহ অনেকের কাছেই বিষয়টি তাকে অপ্রিয় করে তুলেছে।

সেখানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোট কতটা পাবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?

বাংলাদেশের আজিজুর রহমান ১৯৮৩ সাল থেকে আমেরিকায় বসবাস করছেন।

ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা মি. রহমান একজন মুসলিম হয়েও মি. ট্রাম্পকে ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার সমর্থেনের মূল কারণ ‘পরিবর্তন আনা’।

অন্যান্য বাংলাদেশীরা মি. ট্রাম্পকে কিভাবে মূল্যায়ণ করছে জানতে চাইলে মি. রহমান বলেন, “সবাই খারাপ বলছে। কিন্তু ট্রাম্প যা বলছেন ভোট পাওয়ার জন্য। কিন্তু আমরা মনে করি যারা রাজনীতির বাইরে তারাই পরিবর্তন আনতে পারবেন”।

তিনি বলেন, “ট্রাম্পের যে ব্যক্তিত্বের ধরণ তিনি কিন্তু খুবই এগ্রেসিভ। আমরা চাচ্ছি এরকম কেউ আসুক যে পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবে। এখানকার সিস্টেমে পরিবর্তন আনা দরকার”।

“অভিবাসী এবং মুসলিমদের তাড়ানোর বিষয়ে যেসব কথাবার্তা বলেছেন সেটা করার মত একক ক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আসলে নেই। সেখানে কংগ্রেস এবং জুডিশিয়াল সিস্টেম অনেক শক্তিশালী”।

তার মতে, অভিবাসী ও মুসলিমদের নিয়ে এই রিপাবলিকান প্রার্থী যা বলেছেন সেটা এটা নির্বাচনের আগের চিত্র, প্রেসিডেন্ট হলে এটা বদলে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন নীতি এমনিতেই সমস্যাবহুল বলে মনে করেন প্রবাসী এই বাংলাদেশী। তিনি ব্যক্তিগত উদাহরণ টেনে বলেন, তার নিজের মাকে আনতে ১২ বছর লেগে গেছে।

ব্যক্তিজীবনে মি. ট্রাম্পকে ঘিরে অনেক বিতর্ক আছে। এ প্রসঙ্গে আজিজুর রহমান বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে তিনি অনেক কিছুই করেছেন। কিন্তু সেটা তার একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়”।

বি/বি/সি/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে