জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা, চবি অ্যালামনাই বসুন্ধরার সভাপতি ও ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী দয়াল কুমার বড়ুয়া বলেছেন, মানুষের সেবা করা, দুখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো একটি উত্তম ইবাদত। যুগে যুগে মনীষীগণ মানব সেবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব- আশরাফুল মাখলুকাত। আমাদের সমাজে অনেক সময় দেখা যায় অনেকে নানা দুঃখ-কষ্টে জর্জরিত হচ্ছে কিন্তু খোঁজ-খবর নেয়ার কেউ নেই। এটি হওয়ার কারণ হলো, আমরা নিজেরা ভালো থাকার চেষ্টা করি। মানুষকে ভালোবাসি না। মানবসেবার বিভিন্ন দিক আছে। যদি তা ছোট ক্ষেত্রও হয়, তবে তার দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরখানে হযরত শাহ কবির (রহ.) মাজার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত একটি ধর্মীয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

দয়াল বড়ুয়া বলেন, আমি পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি—ঢাকা-১৮ আসনে নেতার পরিবর্তন ঘটলেও সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন হয়নি। এরমধ্যে উত্তরখান ও দক্ষিণখানে বসবাসরত মানুষের ভোগান্তি দীর্ঘদিনের। তাই আমিও অঙ্গিকার করেছি— এই এলাকার জনদুর্ভোগ নিরসনে আমার সামর্থ্যের শেষ চেষ্টা পর্যন্ত করে যাবো।

উত্তরখান-দক্ষিণখানের নানা সমস্যার কথা উল্লেখ করে দয়াল বড়ুয়া বলেন— এই এলাকায় আসলে আমার লজ্জা হয়। তখন নিজেকেই প্রশ্ন করি ‘এই এলাকায় আদৌ কোন নেতা আছে কিনা?’ নেতা থাকলে তো ঢাকার স্মার্ট নগরীর এ অবস্থা থাকার কথা নয়।

উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন— নির্বাচন আসলেই আপনাদের সামনে এসে একদল ভদ্রলোক উন্নয়ন আর জনসেবার কথা বলে গলা ফাটিয়ে বক্তব্য দেয়। কিন্তু নির্বাচন চলে গেলে তাদেরকে আর পাওয়া যায় না। তাই এসব লোকদের চিহ্নিত করে আগামীতে নেতা নির্বাচনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
দয়াল কুমার বড়ুয়া বলেন, মানব সেবায় যারা জড়িত তাদের সবার মাঝে এ কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধকারী হিসেবে যে শক্তি কাজ করে, সেটা হচ্ছে মানুষের মানবতাবোধ। যার মাঝে মানবতাবোধ আছে সেই মানবসেবার একাজে এগিয়ে আসে। বর্তমান সময়ে এ মানবতাবোধের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।
কারো প্রতিবেশি যদি পেটে ক্ষুধা নিয়ে রাত যাপন করে, কেউ যদি কোনো পথশিশুকে ক্ষুধার তড়নায় কাতরাতে দেখে আর সে যদি ক্ষুধার্ত প্রতিবেশি কিংবা ক্ষুধার্ত পথশিশুর পাশে এসে না দাঁড়ায়, তাহলে বুঝতে হবে তার মাঝে মানবতার লেশমাত্রও নেই।

শাহ কবির (রহ.) মাজার ওয়াকফ এস্টেটের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান তনয়ের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন শাহ কবির (রহ.) আশেকান ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম আলমগীরসহ মাজার এস্টেট ও আশেকান ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে