মোঃ আব্দুল আজিম, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি: দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও ফুলবাড়ী উপজেলাবাসীর আস্থার প্রতীক মানবকল্যাণে আত্মনিবেদিত কর্ম সাধক ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী সমাজসেবী মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর নতুন কর্মসূচি হিসেবে পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউপির বৈগ্রাম মোবারকপুর দারুল কোরআন হাফেজিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসার নির্মাণ কাজের যাত্রা শুরু হয়েছে।

দিনাজপুর শহরের নিজ বাসস্থান থেকে পার্বতীপুর ও ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষদের খোঁজখবর নিতে গেলে সেখানকার স্থানীয় লোকজন মোহাম্মদ আলী চৌধুরী কে দেখে অবাক হয়ে বলেন, মোহাম্মদ আলী চৌধুরী স্যার আমরা অধীর অপেক্ষায় থাকি কখন আপনি আমাদের এলাকা দেখতে আসবেন এবং শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে আমাদের নানা প্রকার সমস্যা সমাধানে আমাদের সাহায্য করবেন। যেহুতু আমরা আপনাকে ছাড়া অন্য কাউকে পাশে পাইনা।

আমরা জানি আপনার অক্লান্ত পরিশ্রমে ফুলবাড়ির দ্বিতীয় ব্রিজ, জাফরপুর বৃহৎ ব্রিজ ও খশেরবাড়ী ব্রিজ যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর দরখাস্তের মাধ্যমে এই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

আপনার মাধ্যমে ফুলবাড়ী সরকারি ডিগ্রী কলেজে অনার্স কোর্স চালু হয়েছে বর্তমানে মাস্টার্স কোর্স চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কোন জনপ্রতিনিধি না হওয়া সত্ত্বেও আপনি সব সময় যেভাবে আমাদের পাশে থাকেন তাতে আমরা নিজেদেরকে ধন্য বলে মনে করি।

এইতো কিছুদিন আগে আপনি নিজে অসুস্থ থেকেও পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের ঋণগ্রস্ত বৈগ্রাম মোবারকপুর জামে মসজিদে মোটা অংকের অর্থ দান করেছেন।

ফলে বর্তমানে মসজিদটি সম্পন্ন ঋণমুক্ত এবং গ্রাম হিসেবে দিন দিন উক্ত মসজিদটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদে রূপ নিচ্ছে।

এদিকে পার্বতীপুর উপজেলা থেকে ফেরার পথে বৈগ্রাম মোবারকপুর দারুল কোরআন হাফেজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসার এক ঝাঁক শিশু শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর কাছে দাবি করে বলেন, আপনি আমাদের মাদ্রাসার কয়েকটি ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা করে দেন এই কনকনে শীতে জরাজীর্ণ একটি ঘরে থাকতে আমাদের খুবই কষ্ট হয়।

আমরা এখন সবাই মাদ্রাসার নামাজ ঘরে থাকি। আপনি যে কোনো ভাবে আমাদের মাদ্রাসার ঘরগুলো নির্মাণ করলে আমরা একটু শান্তিতে রাত কাটাতে পারবো এবং আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবো। সেই সূত্র ধরে ৬ জানুয়ারী শুক্রবার ২০২৩ থেকে নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে ইনশাল্লাহ।

পার্বতীপুর উপজেলা ৫ নং চন্ডিপুর ইউপির মুন্সিপাড়া গ্রামের রাজমিস্ত্রি আসাদুল হক বলেন, মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর প্রতি ভালোবাসা হলো হৃদয়ের অভ্যন্তরীণে। যা লুকিয়ে থাকা একটি অনুভূতি। প্রিয় এই মানুষটিকে সহজে বলা যাবে না যে, তিনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ভালোবাসা হল এমন একটি জিনিস যা দেখা যায় না, কিন্তু অনুভব করা যায়। প্রিয় মানুষটির কথা বার বার মনে পড়ে, তার সঙ্গে কাটানো সময় মনে পড়লেই মনটা হাসিখুশিতে ভরে ওঠে, এটাই হলো তার প্রতি পার্বতীপুরবাসীর ভালোবাসা।

উল্লেখ্য, ১৯৮০ দশক থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদ আলী চৌধুরী দিনাজপুর কলেজিয়েট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বোর্ডির সদস্যপদে অধিষ্ঠিত থেকে প্রতিষ্ঠান টিকে জরাজীর্ণ অবস্থান থেকে উঠে এনে আজকে দিনাজপুর জেলার একটি প্রতিষ্ঠিত বিদ্যাপীঠে আত্মপ্রকাশ করিয়েছেন।

এজন্য দিনাজপুরবাসী মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতঃ তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, যেখানে দিনাজপুর কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজে ছাত্রীদের লেখাপড়া করার মত ঘর দুয়ার ছিলো না।

এমতাবস্থায় মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর ধৃত ব্যবস্থায় আরডিআরএস ঠাকুরগাঁও থেকে স্কুল বিল্ডিং, বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা সচিব মহদয় বরাবর দরখাস্ত দাখিলের মাধ্যমে দো-তলা স্কুল বিল্ডিং এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর, লিখিত দরখাস্ত দাখিলের মাধ্যমে ৪ তলা কলেজ ভবন নির্মিত হয়েছে। সেই সাথে উভয় শিক্ষক কমন রুম ও কয়েকটি শৌচাগার নির্মিত হয়েছে।

এমতাবস্থায় মন্ত্রী এমপি বা উপদেষ্টা পদে না থেকেও মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর ধৃত এহোনো কার্যক্রমের প্রতি সর্বস্তরের জনগণ সাধুবাদ জানিয়েছেন।

ফুলবাড়ী ও পার্বতীপুর উপজেলায় রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, বৈদ্যুতিক সংযোগ, মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা করাসহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করায় এলাকার সাধারণ মানুষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী কে লৌহ মানব ও ব্রিজ মাস্টার উপাধিতে ভূষিত করেছেন।

বর্তমানে তিনি পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী উপজেলা সহ বিভিন্ন জায়গায় লৌহ মানব কিংবা ব্রিজ মাস্টার হিসেবে ব্যাপক পরিচিত।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে