কাওছার হামিদ, নিজস্ব প্রতিবেদক, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী): সরকার ব্যল্যবিবাহের উপর কঠোর নজরদারী থাকলেও নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের থামছেনা বাল্যবিবাহ। চুপে চাপে চালাচ্ছে বাল্যবিবাহ, মাগুড়া ইউনিয়নের তালাক ও রেজিষ্ট্রার কাজী নূরুল মুরতুজা।

জানাগেছে কাজী নূরুল মুরতুজা সুকৌশলে এসব বিয়ে রেজিষ্ট্রেরী করেন। যেমন তার কাছে দুইটি বিয়ের রেজিষ্ট্রেরী বই থাকে বাল্যবিবাহ হলে আলাদা বইয়ে রেজিষ্ট্রেরী করায়, আর যখন বিয়ের বয়স হয়ে যায় তখন মুল বইয়ে তুলে নেয়। উল্লেখ্য দেশে করোনা মহামারীতে সকল ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকলেও মাগুড়া ইউনিয়নের কাজী নুরুল মুরতুজার বাল্যবিবাহ কিংবা প্রাপ্ত বয়স্কদের বিয়ে পড়ানো বন্ধ থাকেনি।

জানাগেছে যেসব বাল্য বিবাহ রেজিষ্ট্রি করেছেন, মাগুড়া বসুনিয়া পাড়া গ্রামের মোস্তফার মেয়ে মাগুড়া মুন্সি পাড়া দাখিল মাদরাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তা আক্তার, মাগুড়া কুটিপাড়া গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী লাইমা আক্তার, মাগুড়া সবুজ পাড়া গ্রামের আনিছুলের মেয়ে মাগুড়া এম আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী মদিনা আক্তার, মাগুড়া বাজার এলাকার মিঠুলের মেয়ে মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী শুকতারা আক্তার, মাগুড়া মিয়া পাড়া গ্রামের ইদ্রীস আলীর মেয়ে মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ঝর্ণা আক্তার,একই গ্রামের পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদের মেয়ে মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী স্বর্নলতা, মাগুড়া কুটি পাড়ার বাকি বিল্লাহ (ভাটির) মেয়ে মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী তহুমিনা আক্তার, মাগুড়া শাহ পাড়া গ্রামের মানিকের মেয়ে পূর্ব পাড়া বালিকা দাখিল মাদরাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী মাশরুফা আক্তার,একই গ্রামের বুদারুর মেয়ে মাগুড়া কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী লাজিনা আক্তার। জানাগেছে বিগত দিনে কাজী নুরুল মুরতুজা বাল্যবিবাহ রেজিষ্ট্রেরী করার অপরাধে জেল খেটেছেন।

তবুও প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে বাল্য বিবাহ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে উপজেলার নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান,কাজী ও প্রশাসনকে নিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যদি এ বিষয়ে তারা অমান্য করে তাহলে আমাকে অবগত করবেন আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব। এ ব্যাপারে মাগুড়া ইউনিয়নের কাজী নুরুল মরতুজা সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সাংবাদিককে চায়ের দাওয়াত দেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে