পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রাষ্ট্রীয় অঙ্গ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে, যাতে করে আইনি শিক্ষা মহামারির মধ্যে আইনের পরিবর্তিত কাঠামো ও কার্যাবলি প্রতিফলিত করতে পারে।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট অকল্পনীয় দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নতুন আইনি ধারণা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের জরুরি বিধান জারি না করে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলোকে সীমাবদ্ধ করা থেকে শুরু করে উদ্ভাবনি আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিআইএলআইএ) এর ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীতে বিআইএলআইএ এবং এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ল প্রফেসরস (এএএলপি) আয়োজিত ‘মহামারি চলাকালীন ও মহামারি পরবর্তী আইন ও আইনগত শিক্ষা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মোমেন বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আচরণকে প্রভাবিত করার পাশাপাশি মানুষের নিরাপত্তা ও উন্নয়নে বহুমুখী প্রভাব ফেলেছে।

তিনি বলেন, মানব ও মানবসমাজের এই আচরণগত ধরন ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে। আইন ও আইনি শিক্ষা এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বিশ্বজুড়ে আইনি ক্ষেত্র যে অনন্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে তা মোকাবিলা করার জন্য বিভিন্ন বিষয়ের পণ্ডিতদের দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করার লক্ষ্যে সম্মেলনের আয়োজন করায় বিআইএলআইএ’র উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিআইএলআইএ’র চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জমির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অধ্যাপক ও ডিন ড. মো. রহমত উল্লাহ এবং বিআইএলআইএ’র প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে