বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) মানবজাতির জন্য এক আলোক অনুসরণীয় আদর্শ। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য, সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ যন্ত্রণা ভোগ করে তার ওপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বাণী তথা তওহীদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন।

বুধবার (২০ অক্টোবর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আজ ঈদে মিলাদুন্নবীর এক মহামানবের জন্মদিন। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি। তাদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

তিনি বলেন, বিশ্বমানবের কাছে এক আলোকিত বিস্ময় হযরত মুহাম্মদ (সা:)। দিনটি সমগ্র বিশ্বে মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। পরম সত্যের সন্ধানে নিজেকে নিয়োজিত রেখে তিনি ৪০ বছর বয়সে নবুয়াত লাভ করেন। কঠোর সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে তিনি তাওহীদের বাণী সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেন। অনন্য সাধারণ ব্যক্তিত্ব, অনুপম আচরণ, সৃষ্টির প্রতি অগাধ প্রেম ও ভালোবাসা, অতুলনীয়  বিশ্বস্ততা, সীমাহীন দয়া ও ক্ষমার জন্য তিনি মানবজাতির এক অনুকরণীয় আদর্শ। আল্লাহ তা’আলা পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কোরআন মহানবী (সাঃ) উপর অবতীর্ণ করেন, যা মানবজাতির পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসেবে ইহলৌকিক ও পরলৌকিক মুক্তির যাবতীয় নির্দেশাবলী অনুসরণের মাধ্যমে মানুষকে পরিপূর্ণ ও মর্যাদাশীল করে তোলে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যেন সবাই নিজেদের জীবনে মহানবীর আদর্শ ও কর্মজীবন অনুসরণ করে সত্যিকার মোমিন-মুসলমান হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারি, এই জন্য আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের কাছে মোনাজাত করি। আজকের এই দিনে আমি মুসলিম উম্মাহ’র ঐক্য, শান্তি এবং সমৃদ্ধি কামনা করি। আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরসালিন হযরত মোহাম্মদ (সা:)’র প্রতি সালাম জানাই।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে