কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার ৩ কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়ে গেছে। রোববার (৩ অক্টোবর) ভোট গণনা হচ্ছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে এবং দক্ষিণ কলকাতার হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ভবানীপুর বিধানসভায়।

মুখ্যমন্ত্রী পদ টিকিয়ে রাখতে হলে মমতাকে ভবানীপুরে জয় পেতে হবে।  

৩০ সেপ্টেম্বর ওই তিন কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে কমবেশি ২০ থেকে ২৪ রাউন্ড গণনা হবে, যা সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে গেছে।  এখন পর্যন্ত যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, এতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছেন। তবে বিকেলের মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে।  

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এপ্রিলে সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে করোনায় দুই প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ওই সময় ভোট হয়নি। এই দুই কেন্দ্রর ভোট ভবানীপুরের উপ-নির্বাচনের সঙ্গেই জুড়ে দেওয়া হয়।

পশ্চিমবঙ্গের উপ-নির্বাচনে তৃণমূলের জেতা আসনেও জয় পাওয়া যে কঠিন, সে অভিজ্ঞতা আগেও রয়েছে বিজেপির। আর ভবানীপুরে গত বিধানসভা নির্বাচনে তো বড় ব্যবধানে জিতেছে তৃণমূল। তার ওপর উপ-নির্বাচনে আবার প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  

তাই জেতার আশা নয়, বরং কত ভোটের ব্যবধানে পরাজয় তার অঙ্কই কষছে বিজেপি। এই তিন কেন্দ্রের মানুষ যে মমতার পক্ষে রায় দিচ্ছেন, তা ভোটের গণনা শুরু ট্রেন্ড থেকে বোঝা যাচ্ছে।

২০১১ সালের এমনই এক উপ-নির্বাচনে ভবানীপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের ব্যবধান ছিল ৫৪ হাজারের বেশি। আবার ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ২৫ হাজারের কিছু বেশি ভোটে জয়ী হন তৃণমূল নেত্রী।

২০২১ এর নির্বাচনে তৃণমূল ২১৩ আসনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। তবে ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামের প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরাজিত হন। ফলে দল যখন ক্ষমতায় দলের প্রধানই যে মুখ্যমন্ত্রী হবেন এটাই স্বাভাবিক। আর সেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিল।  

কোনো দিক চিন্তা না করেই এই ভবানীপুর কেন্দ্রেকেই তিনি বেছে নিয়েছেন। এর ফলাফল পেতে আরও অপেক্ষা করতে হবে।  

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে