ডেস্ক স্পোর্টসঃ ম্যাচটা শেষ হতেই সুনীল গাভাস্কারের মন্তব্য, ‘আরও লড়াই আশা করেছিলাম ভারতের কাছ থেকে। বিরাট কোহলি আউট হতেই ভেঙে পড়ল ওরা।’ গাভাস্কারের কথাটা আংশিক সত্য।
আজিংকা রাহানের ব্যাটে ভারত সাধ্যমত লড়াই করেছে। রাহানে (৫১) লেগ বিফোর হতেই ভারতের আশা শেষ। বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দল ভারতকে একদিন বাকি থাকতেই ৬০ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-১ এ নিজেদের করে নিল ইংল্যান্ড। এর অনেকখানি কৃতিত্ব স্পিনার মঈন আলীর।
আর এক উইকেট পেলেই টেস্টে দ্বিতীয়বার ১০ উইকেট পাওয়া হতো তার। তা হয়নি। মঈনের তাতে দুঃখ পাওয়ার কথা নয়। ম্যাচে ১৩৪ রানে ৯ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের জয়ে ভূমিকা রেখেছেন তিনি চতুর্থদিন বিকেলে। হয়েছেন ম্যাচসেরা।
অথচ, সাউদাম্পটন টেস্টে কী দারুণ সূচনাই না করেছিল ভারত। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ৮৬ রানে হারিয়েছিল ছয় উইকেট। সেখান থেকে স্বাগতিকরা ২৪৬। এরপর ভারত ব্যাট করতে নেমে ১৪০/২। সেখান থেকে ২৭৩। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস ২৭১-এ শেষ। ভারতের লক্ষ্য ২৪৫। টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ২০০-র উপরে রান তাড়া করা দুঃসাধ্য। সেটা প্রমাণ করতেই যেন ১৮৪তে অলআউট ভারত। অশ্বিনকে কারেন লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলতেই রোববারের বিকেল ইংরেজদের জন্য মোহনীয় হয়ে ওঠে।
সাউদাম্পটন টেস্টের চতুর্থদিন মাত্র ২২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে কাজটা কঠিনতর করে তুলেছিল অতিথিরা। ইংল্যান্ডের জয় তখন সময়ের ব্যাপার বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু চতুর্থ উইকেট জুটির প্রতিরোধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। রাহানেকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা ভালোভাবেই সামাল
দিয়েছিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। শতরানের জুটির পাশাপাশি নিজে তুলে নেন ফিফটি। কিন্তু দারুণ সম্ভাবনাময় ইনিংসটিকে শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরিতে অনূদিত করতে পারেননি কোহলি। ব্যক্তিগত ৫৮ রানে তাকে থামিয়ে ১০১ রানের জুটি ভাঙেন মঈন আলী। তাতে ইংল্যান্ড ম্যাচে ফিরলেও রাহানের ব্যাটে লড়াই চালিয়ে যায় ভারত। সেই লড়াই শেষ হয় অশ্বিনের আত্মসমর্পণের মধ্যদিয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস ২৪৬। ভারত প্রথম ইনিংস ২৭৩। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস ২৭১। ভারত দ্বিতীয় ইনিংস ১৮৪ (কোহলি ৫৮, রাহানে ৫১, অশ্বিন ২৫। অ্যান্ডারসন ২/৩৩, মঈন আলী ৪/৭১, স্টোকস ২/৩৪)। ফল : ইংল্যান্ড ৬০ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মঈন আলী (ইংল্যান্ড)।
J/N.