সাব্বির আলম বাবু, প্রতিনিধিঃ ভোলা জেলায় এবছর ১২০টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। মন্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা। একইসাথে কাজ চলছে অনান্য সাজ-সজ্জার। মন্ডপগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রত্যেকটিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা দায়িত্ব পালন করবে প্রতিটি মন্ডপে। এছাড়া প্রত্যেক মন্ডপে সরকারিভাবে চাল বরাদ্দের পাশাপাশি স্থানীয় সংসদ সদস্যদের বিশেষ অনুদান থাকবে।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার সাহা জানান, ১২০টি মন্ডপের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৭টি, দৌলতখানে ১০টি, বোরহানউদ্দিনে ২০টি, তজুমদ্দিনে ১৮টি, লালমোহনে ২২টি , চরফ্যাসনে ১৩টি ও মনপুরায় ১০ টি মন্ডপ রয়েছে। পূজা উপলক্ষে ৭ উপজেলায় খোলা হবে ৭টি কন্ট্রোল রুম। প্রত্যেক মন্ডপে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে ১০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে। তিনি আরো জানান, উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাৎসব পালনে ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় থানা পুলিশের সাথে পূজা উদযাপন পরিষদের সাথে মত বিনিময় সভা হচ্ছে। খুব শিগ্রই জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সাথে এ বিষয়ে সভা করা হবে। অধিকাংশ মন্ডপে প্রতিমা তৈরিতে মাটির কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে রং তুলীর কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোওয়ার হোসেন বলেন, খুব শিগ্রই প্রতিটি মন্ডপের জন্য ৫’শ কেজি করে সরকারি চাল বরাদ্দ আসবে। জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাহিদুজ্জামান বলেন, আসন্ন শারদীয় দূর্গাৎসব শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বিঘ্নে উদযাপনে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে যা যা করনীয়, তার সবই করা হবে। মন্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক পুলিশ থাকবে। এখন থেকেই পুলিশের নজরদারি চলছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কেউ যাতে গুজব বা অপপ্রচার না চালাতে পারে সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। এছাড়া প্রত্যেকটা মন্ডপে একজন করে পুলিশ অফিসার দায়িত্বে রয়েছেন। তারা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন সংশ্লিষ্টদের সাথে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে