সারাদেশে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর বেশ কয়েকজন প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।

খুলনা: খুলনা-৫ (ফুলতলা-ডুমুরিয়া) আসনে ভোট বর্জন করেছেন ধানের শীষের প্রার্থী ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি কেন্দ্রীয় জামায়াতের নায়েবে আমির। রোববার সকাল ১০টায় তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভোটগ্রহণ শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। এমনকি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুলিশও ভোটারদের মুখ চিনে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন।এ অবস্থায় নির্বাচন করা অসম্ভব। প্রসঙ্গত, খুলনা-৫ আসনে গোলাম পরওয়ার ছাড়াও আওয়ামী লীগের নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (নৌকা), ইসলামী আন্দোলনের শেখ মুজিবুর রহমান (হাতপাখা), সিপিবির চিত্তরঞ্জন গোলদার (কাস্তে) ও জাতীয় পার্টির শহীদ আলম (লাঙল) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনের ১৩৩টি ভোট কেন্দ্রের ৬৯৯টি ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। একই আসনে ভোট বর্জন করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সুনীল শুভ রায়। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় বলেন, এরকম কলঙ্কিত ভোট আমি কোনও দিন দেখিনি। সকাল থেকেই আমার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। কাউকে গাছের সঙ্গে বেঁধেও রাখা হয়েছে। যারা ভোট দিতে যাচ্ছেন তাদের ব্যালট পেপার টেবিলের ওপর রেখে নৌকায় সিল দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এখানে কোনও সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে না। আমি সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি। এদিকে খুলনা-৬ (কয়রা-পাইতগাছা) আসনের ধানের শীষ প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।    আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী এজেন্ট অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী বলেন, ‘আমাদের লোকদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশকে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। তাই ভোট বর্জন করলাম।    এছাড়া পাবনা-৫ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মওলানা ইকবাল হুসাইন ও যশোর-৪ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল হকের ভোট বর্জনের খবর পাওয়া গেছে।

R/T/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে