কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয়শিবির থেকে স্বেচ্ছায় যেতে আগ্রহী আরও এক হাজার রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে বাস ও ট্রাকে করে সড়কপথে তাদের চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হবে।সেখান থেকে নৌ বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নেওয়া হবে ভাসানচরে।

এর আগে ছয় দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে সাড়ে ১৮ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচর আশ্রয়শিবিরে স্থানান্তর করা হয়। তবে জাতিসংঘ যুক্ত হওয়ার পর ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর এটাই প্রথম।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ শামছু-দ্দৌজা বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার সপ্তম দফায় কক্সবাজার থেকে কিছু রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তবে সংখ্যাটা ঠিক কত, তা আপাতত বলা যাচ্ছে না। যারা স্বেচ্ছায় যেতে আগ্রহী, তাদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এক্সিবিশন) অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার নাইমুল হক বলেন, স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে আগ্রহী রোহিঙ্গাদের রাতেই উখিয়া ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেখানে থেকেই তাদের ভাসানচরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম নেওয়া হবে।

ভাসানচরের আশ্রয়শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গার ধারণক্ষমতার আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে নৌ বাহিনী। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে নৃশংসতার শিকার হয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে। বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে বসবাস করছে। কিছুটা হলেও চাপ কমাতে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে