কিশোরগঞ্জ নীলফামারী থেকে,আ,ফ,ম মহিউদ্দিন শেখ:  নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায়  দু’দিনে টানা ভারী বৃষ্টিতে  ও উজানের ঢলে  বিভিন্ন নদীর পানি বিপদসীমা উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ।  উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের নিচু এলাকার বাড়ি ঘর ও ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।  ফলে পানি বন্দি মানুষ দিশেহারা হয়ে পরেছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখাযায় উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে বড়ভিটা ইউনিয়নের দক্ষিন বড়ভিটা, বাহাগিলি ইউনিয়নের বৈরাগীপাড়া, মাগুড়া ইউনিয়নের মাগুড়া দোলাপাড়া ও কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কেশবা ও পুষনা গ্রামের লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।  পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির কারনে নদ নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায়  প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর আবাদি জমি(আমন ক্ষেত) পানিতে তলিয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার এনামুল হক জানান দু’দিনে প্রায় ২৪৫ মিলিমিটার বৃস্টিপাত হয়েছে।
বাহাগিলি ইউনিয়নের মিনাল চন্দ্র জানান,সরকারী ভাবে লিজ নেয়া বিলে তিনি প্রতি বছর মাছ চাষ করতেন।কিন্তু ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তার মাথায় এবার বাজ পরেছে। বিল থেকে সব মাছ বেরিয়ে গেছে।শত চেষ্টা করেও তা আটকাতে পারেনি।মাথায় হাত রেখে চোঁখের জল ফেলা ছাড়া  আর কিবা করার আছে তার।
  কিশোরগঞ্জ উপজেলা মুন্সিপাড়া গ্রামের বাসিন্দার নুর-এ-এলাহী জানান, তার বাড়ীর পাশদিয়ে বাজার এলাকার যে ড্রেনটি গেছে তা কয়েক বছর থেকে কোন প্রকার সংস্কারকাজ না করায় ভেঙ্গে গিয়ে বাড়ীর ভীতর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।  শহরের পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো সংস্কার না করায় কিশোরগঞ্জ বাজারের বিভান্ন স্থানে জলাবদ্ধা সৃষ্টি হয়েছে।
খামারগাড়াগ্রাম ২ নং ওয়াডের্র মেম্বার হাসিবুজ্জামান জানান ধাইজান নদী প্লাবিত হয়ে চিড়াতিপাড়া,নদীরপাড়,ময়দান পাড়া,বানিয়া পাড়া,হাইস্কুল সংলগ্ন পুটিমারি দোলাপাড়া গ্রাম এলাকায় ৪ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পরেছে।এ গ্রামে হ্যাচারী সহ ছোট-বড় প্রায় ২০টি পরিবার মাছের চাষ করত। তাদের সব মাছ পুকুর থেকে বেড়িয়ে গেছে এতে ৫ লক্ষ্যাদিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে মানুষ হাট-বাজার ও করতে পারছেনা।
এসব তলিয়ে যাওয়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান তিনি পানি বন্দি পরিবারগুলোকে সহায়তা প্রদানের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দিয়েছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে