ভারতে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েলেও সময় মতো লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার ফলে মৃতের সংখ্যা এককের অঙ্ক ছাড়িয়ে যায়নি।
ঘূর্ণিঝড় উত্তর ভারত মহাসাগরের একটি নিয়মিত বিপত্তি। তবে অনেক বিজ্ঞানী মনে করছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে সমুদ্রের তাপমাত্রা উষ্ণ হওয়ার কারণে এ অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আরো ঘন ঘন ও তীব্র হচ্ছে।

মাত্র এক সপ্তাহ আগে ঘূর্ণিঝড়ে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে কমপক্ষে ১৫৫ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটে। তাই, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আঘাত হানার আগেই পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষায় ১৫ লাখের বেশি লোককে সরিয়ে নেয়া হয়।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বুধবার প্রবল বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়াসহ ১৫৫ কিলোমিটার (৯৬ মাইল) বেগে ভূখ-ে আছড়ে পড়ে যা ছিল দ্বিতীয় ক্যটাগরির হারিকেনের সমকক্ষ।

পূর্ণিমার কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ার তীব্রতর হওয়ায় ডাবল-ডেকার বাসের আকারের ঢেউ উপকূলের তীরবর্তী শহর ও গ্রামগুলোকে প্লাবিত করে। সমুদ্রের নিকটবর্তী গ্রামের বাসিন্দা প্রবীর মাইতি এএফপিকে বলেন, “আমি আমার বাড়িঘর সবকিছু হারিয়েছি।”
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাধ ভেঙে যাওয়ার ফলে পশ্চিমবঙ্গে দু’জন এবং উড়িষায় দু’জন প্রাণ হারিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিন লাখের অধিক বাড়িঘর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে।

BSSN

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে