raja_subroto111

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৭ই মার্চ১৬)-আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনঃ ব্যক্তিগত আক্রোশেই বান্ধবী সঙ্গীতা আইচকে খুন করেছে বলে স্বীকার করল সুব্রত সিংহ ওরফে রাজা।

শনিবার জগদ্দল থানায়  আত্মসমর্পণের পরে সে এ কথা স্বীকার করেছে রাজা।

পুলিশ জানায়, সুব্রত তাদের জানিয়েছে, সঙ্গীতা ওরফে টিনার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ইদানীং অন্য একটি যুবককে কেন্দ্র করে তাদের সম্পর্কে চিড় ধরে। সেই কারণেই টিনাকে সে কুপিয়ে মেরেছে।

শুক্রবার বিকেলে বারাসত নতুন পুকুর অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে কিশোরী ভলিবল খেলোয়াড় টিনাকে কুপিয়ে খুন করার পর রাজা উধাও হয়ে গিয়েছিল।

পুলিশ সূত্রের খবর, সারা রাত সে তার জগদ্দলের দক্ষিণ চণ্ডীতলার বাড়িতে ফেরেনি। এ দিন সকালে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে জগদ্দল থানায় ধরে নিয়ে আসেন তার বাবা স্বপন সিংহ।

আইসি সঞ্জীব চক্রবর্তীকে তিনি বলেন, ‘‘আমার ছেলে সুব্রত আত্মসমর্পণ করতে চায়।’’ পরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের একটি দল রাজাকে গ্রেফতার করে বারাসত থানায় নিয়ে যায়।

 

সুব্রত ওরফে রাজা জাতীয় স্তরের ভলিবল খেলোয়াড়। টিনাও বাংলা জুনিয়র ভলিবল দলের সদস্য ছিল।

পুলিশ সূত্রের দাবি, ভলিবলের সূত্রেই দু’জনের আলাপ ও ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল। এ দিন জগদ্দল থানার বাইরে দাঁড়িয়ে রাজার দাবি, ‘‘টিনার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এখন আর একটি ছেলের সঙ্গে প্রেম করছিল ও। টিনার সামনেই ওই ছেলেটি আমাকে ফোনে হুমকি দিত। এটা আমি মানতে পারিনি।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, গ্রেফতার হওয়ার পর রাজা মানসিক ভাবে বেশ বিপর্যস্ত।

রাজার বাবা স্বপনবাবুর বৈদ্যুতিক সামগ্রীর ব্যবসা। তিনি জানান, শুক্রবার দুপুরে খাওয়ার সময় রাজার সঙ্গে খেলা নিয়েই আলোচনা হয়েছিল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেই ছেলেই যে এমন কাণ্ড ঘটাবে, তা ভাবতেও পারেননি তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ওর মতো শান্ত ছেলে এত হিংস্র হয়ে উঠবে, এটা বিশ্বাস করতে পারছি না।’’ দক্ষিণ চণ্ডীতলার বাসিন্দারাও বলছেন, ঋষি অরবিন্দ স্কুলের ছাত্র রাজা এলাকায় লাজুক, মুখচোরা ছেলে হিসেবেই পরিচিত ছিল। এমন ছেলে যে এ ভাবে খুন করতে পারে, তা বিশ্বাস করতে পারছেন না অনেকেই। এ দিন রাজাদের বাড়িতে পড়শি-পরিজনদের ভিড় জমেছিল। তারই মাঝে বসে চুপচাপ ছেলের ছবির দিকে তাকিয়ে ছিলেন রাজার মা রেখা সিংহ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে