মোঃসাইদুল ইসলাম: বিশিষ্ট আইনজীবী আলহাজ্ব ব্যারিষ্টার এ. এম মাছুম এর মহতি প্রচেষ্টায়, রহমান এন্ড নেছা ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে মেহেন্দিগঞ্জে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসা, কওমিয়া ও হাফিজীয়া মাদ্রাসার ২০২৩ ইং শিক্ষাবর্ষের মেধাবী এবং জি. পি. এ -৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান ও পুরস্কার বিতরণের উদ্যােগ নেওয়া হয়েছে। আগামী শনিবার পাতারহাট বন্দরের মুক্তিযোদ্ধা পার্ক (বালুর) মাঠে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানকে ঘিরে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। আয়োজন সম্পর্কে মাওলানা ওমর ফারুক খান জানান, কাদেরিয়া কাসেমুল উলুম কওমী মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ জামাল উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ইসলামি শিক্ষানুরাগী বরিশালের কৃতি সন্তান আলহাজ্ব হযরত মাওলানা হাফেজ মুস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক দানবীর এফ এ আর গ্রুপের মাননীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদের ফারুক, বৃত্তি প্রদান ও পুরস্কার বিতরণ করবেন বিশিষ্ট আইনজীবী আপিল বিভাগ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আলহাজ্ব ব্যারিষ্টার এ. এম মাছুম। সহযোগিতায় রয়েছেন আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ সালাহ উদ্দিন খান। উল্লেখ রহমান এন্ড নেছা ফাউন্ডেশন এর উদ্যােগে ব্যারিষ্টার এ. এম. মাছুম এর মহতি উদ্যােগে দুই উপজেলার প্রান্তিক মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। অসহায় মানুষদের স্বপ্ন পূরণের জন্য তার নিরলস প্রচেষ্টা। ফাউন্ডেশনটি কাজের মাধ্যমে সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের ধারা আনতে চান সবসময়। মানবিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে অসহায় নারী ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে কাজ করা, শিশুদের শিক্ষাদানের পাশাপাশি নতুন পোশাক উপহার দেওয়া, শীতবস্ত্র বিতরণ, ঈদ সামগ্রী বিতরণ, গৃহহীনদের ঘর উপহার দেওয়া, গরিব অসহায়দের মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দান-অনুদান প্রদান, কর্মহীনদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, সব মিলিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনে আমূল পরিবর্তন আনতে কাজ করে যাচ্ছেন। তার অনুসারীরা বলেন, তিনি বেশ কিছু কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। আরও বেশ কিছু ইভেন্ট চলমান আছে। তার এসব ভালো কাজ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে থাকেন স্ব স্ব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণির মানুষের স্বপ্ন পূরণই তাদের কাজের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এছাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ ও কর্মক্ষম মানুষের আয়ের পথ সৃষ্টির জন্য হাঁস-মুরগি বিতরণ, গরু, ছাগল বিতরণ, সেলাই মেশিন প্রদানের কাজও করেছে। এ বিষয়ে ব্যারিস্টার এম এ মাসুম বলেন, যখন কাউকে সহযোগিতা করতে পারি, তখন মনের ভেতরে একটা ভালোলাগা কাজ করে। এই অনুভূতি আসলে কাউকে বোঝানোর মতো নয়। তখন আমার কাছে মনে হয় এটিই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন, বড় সাফল্য। একটা মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে মনে হয় আমি পুরো বিশ্বকে জয় করে ফেলেছি। আর মানুষের জন্য কিছু করার প্রয়াস থেকেই এই কাজগুলো করে আসছি। ভবিষ্যতেও করে যেতে চাই। প্রতিক্রীয়ায় মেহেন্দিগঞ্জের মাওলানা ওমর ফারুক খান বলেন, ব্যারিস্টার মাসুম এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অনেক অসহায় গরিব মানুষ এখন আলোর পথের যাত্রী। সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের। হাসি ফোটাচ্ছেন হাজারও পরিবারের সদস্যদের মুখে। যিনি দীর্ঘদিন ধরে নিরলসভাবে মানুষের কল্যাণ ও আত্মমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ইতিমধ্যে তার কাজের মাধ্যমে নিজেকে একজন পরোপোকারী ও সমাজসেবক,সফল মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। অতীতে এদেশ তথা বিশ্বের বুকে যত সমাজ সেবী ও জন দরদী ছিলেন তাদের জীবন পর্যালোচনা করলে মুলতঃ এই প্রবাদটির ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা বলে গেছেন, “সূর্য আমি ঐ দিগন্তে হারাবো, অস্তমিত হবো, তবুও ধরনীর বুকে চিহ্ন রেখে যাব”, তার এই উক্তিটিই অনেকে মূলমন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন। তাইতো ধরনীর তরে কেউ ধার্মিক, কেউ সমাজ সেবা, কেউবা ব্যবসা বানিজ্যের ক্ষেত্রে রেখে যাচ্ছেন তাদের স্ব-স্ব কর্ম পথিকৃত। আমরা সেই এমনি একজন লোকের সাক্ষাত পেয়েছি যিনি নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার সেই বলিষ্ট কন্ঠকে মাথায় রেখে সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রেখে যাবার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন ব্যারিষ্টার এ. এম মাছুম।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে