ডেস্ক রিপোর্ট: বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে রাস্তায় খুব কম ভালো গাড়ি পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সম্প্রতি উচ্চ আদালত ফিটনেসবিহীন গাড়িতে জ্বালানি সরবরাহ না করতে নির্দেশনা দিয়েছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী জানিয়েছেন হাইকোর্টের নির্দেশনায় ‘বাস্তবতার নিরিখে’ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তেল দেওয়ার বিষয়টি জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের, হাইকোর্ট যখন আদেশ দিয়েছে পেট্রোল পাম্প তো জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের, তারা এ আদেশ মানার প্রক্রিয়ায় কতটুকু এগিয়েছে তা জানি না।

মন্ত্রী বলেন, হাইকোর্ট যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, আমরা দেখেছি সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগেও হেলমেট না থাকলে তেল নয়, যে ব্যবস্থা করা হয়েছিল সেটি কিন্তু কার্যকর হয়েছে। কাজেই এ বিষয়টি মনে হয় জনস্বার্থে মেনে নেওয়া দরকার এবং মেনে নিলে মানুষ উপকৃত হবে। বিআরটিএর জনবল আগের চেয়ে ভালো এবং জনবল বাড়ানোর জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে, তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। কাজ যতটা বেড়েছে সে তুলনায় জনবল নেই, জনবল আরো বাড়াতে পারবো শিগগিরই।

ফিটনেসের যে আইন সে আইন অনুসরণ করলে একটি বাসও ফিটনেস পাবে না, ২৬ সিটকে ৪২ সিট বানিয়ে ফেলছে, ফিটনেস বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ মানা শুরু হলে গণপরিবহন থাকবে না। এতে জনভোগান্তি তৈরি হবে কিনা প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আমরা বাস্তবতার নিরিখে সব কিছু বিবেচনা করবো। বাস্তবতার বিষয়টি যদি চিন্তা-ভাবনা না করতাম তাহলে ঢাকা শহরে দেখা যায় আমি যখন রোড সেফটি প্রোগ্রামে যাই, গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করি তখন রাস্তায় গাড়ি কমে যায়, জনগণের ভোগান্তি হয়।

‘কাজেই আমরা বিকল্প ব্যবস্থার বিষয়টি গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করছি, গণপরিবহন আরও পরিবহন যুক্ত করার ব্যাপারে অর্থমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। যাতে এ ব্যাপারে ঋণ সুবিধা দিয়ে গণপরিবহনে মেয়র আনিস যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন সেভাবে কোম্পানির অধীনে গণপরিবহনের বিষয়টাকে চিন্তা-ভাবনা করছি। বহরে আরও পরিবহন যুক্ত করা দরকার, তা না হলে ফিটনেসবিহীন গাড়ি যে অবস্থায় রয়েছে এ অবস্থায় ব্যবস্থা নিতে গেলে খুব কম ভালো গাড়িই পাওয়া যাবে। অনেক গাড়িরই বাজে অবস্থা। দেখতেও গরিব গরিব চেহারা, আবার কেউ রং চং চড়ায় কিন্তু বাইরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট, অবস্থাটা এমন। কাজেই এটা আমরা ভাবনা-চিন্তা করছি।’

বিধিমালা প্রণয়ন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিধিমালা মূল আইনের পরিপন্থি নয়। আইনের পরিপন্থি কিছু বিধিমালা হবে না। প্রধানমন্ত্রী এবারের নিরাপদ সড়কের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বাস্তব কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন, সড়কে শৃঙ্খলা আনতে এই নির্দেশনা কাজ করবে। মালিকরাও এ নিয়ে সভা করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিআরটিএ এবং বিআরটিসিতে নতুন চেয়ারম্যান, তারা দু’জনই সৎ মানুষ, কাজের লোক। আমি মনে করি দৃশ্যপট পরিবর্তনে অবদান রাখবে।

P/B/A/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে