images(23)

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৬ফেব্রুয়ারি১৬)- আসাদুজ্জামান সুজন (নীলফামারী প্রতিনিধি): উৎপাদন খরচের বিপরীতে আশানুরূপ মূল্য না পাওয়ায় বোরো ধান আবাদে আগ্রহ হারাচ্ছে নীলফামারীর কৃষকরা।
এখন তারা ঝুঁকছে সরিষা, মসুর, পেঁয়াজ ও গম জাতীয় ফসলের দিকে।সরজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিস্তীর্ণ যে জমিতে গেল বছর ছিল বোরোর আবাদ কিন্তু এবারের চিত্র আলাদা,ধানের পরিবর্তে গম ভুট্টা আর সরিষার চাষ করছে কৃষকরা।

নীলফামারীর বিভিন্ন উপজেলার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে গত মৌসুমে তারা ধানের নায্যমূল্য পাননি।যেখানে ধানের উৎপাদনে তাদের খরচ হয়ছেে ৮০০ টাকা।সেখানে মণ প্রতি বিক্রয় মূল্য এসেছে ৫৫০ থকেে ৬০০ টাকা।কৃষকরা জানায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া আর ধানের পর্যাপ্ত দাম না পাওয়ায় বোরো আবাদে আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা।তাই বারবার লোকসানের মুহূর্তে এবার ধানের পরিবর্তে বিকল্প ফসল হিসেবে গম ভুট্টা ও সরিষার চাষ করছেন।

বোরো চাষে এই ধসের কারন প্রসঙ্গে জেলা সদরের কানিয়ালখাতা গ্রামের রফিকুল, মতিয়ার , মানিক, নিপিন চন্দ্র সহ আরো বেশ কয়কেজন কৃষক জানালেন, এই ধান চাষ শুধু সেচ নির্ভর। আর সেচ কাজের জ্বালানির দাম, শ্রমিক খরচ অধিক হওয়া অন্যদিকে উৎপাদিত এ ধানের দাম কাঙ্খিত না হওয়ায় এমনটি হয়ছেে।তারা জানালেন, বোরো বাদ দিয়ে আমরা এখন অন্য ফসলের দিকে ঝুকছি।

সদর উপজলোর গাবেরতল বাজারের ধান ব্যবসায়ী নালচন ব্যাপারী জানান, দেশের বাইরে থেকে এলসির মাধ্যমে চাল আসায় দেশের কৃষকরা ধানের দাম পাচ্ছেন না। এ অবস্থা চলতে থাকলে কৃষকরা এমনি ভাবইে বোরো ধান চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে থাকবে। তিনি সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন- ধান চাষে কৃষকদের  প্রতি আরো সদয় হতে হবে।প্রয়োজনে র্ভত্তুকি দিতে হবে।

বোরো আবাদ কমে যাওয়ার বিষয় স্বীকার করে জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক গোলাম মোহাম্মাদ ইদ্রিস জানান- জেলায় গম,ভুট্টা,সরিষা তিনটি আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে এর প্রধান কারন তিনটি আবাদে’ই খরচ কম বিশেষত সেচ খরচ অনেক কম।যেখানে বোরোতে কয়েক দিন পর পরই সেচ দেয়ার লাগে।ফলে বোরো আবাদে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা।

তিনি জানান শস্য বহুমুখীকরণের জন্য কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের পরার্মশ দেওয়া হচ্ছে।বোরো উৎপাদন কম হলেও দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় কোনো সমস্যা হবে না।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে