ডেস্ক রিপোর্টঃ তিন দিন ধরে টানা বর্ষণে রাজধানীতে জনজীবন বিপর্যস্ত। গতকাল শুক্রবারই বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানিতে রাস্তা তলিয়ে যায়। রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় আজ শনিবারও অনেক সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়েন স্কুলগামী শিশুরা। এ ছাড়া কর্মস্থলের যাওয়ার পথে যানবাহনের অভাবে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখা যায় অনেককে।

রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকা হাঁটুপানিতে ডুবে যায়। সড়কে যানবাহন চলাচলও থমকে গিয়ে ভোগান্তির মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। সকালে আকাশে কালো মেঘ ও ঝিরঝির বৃষ্টি দেখেও যাঁরা বাইরে বের হয়েছিলেন, তাঁদের বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে। তিন দিনের বৃষ্টির পানি রাজধানীর সড়ক-অলিগলিতে তত জমেছে। তবে শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি কম।

রাজধানীর মিরপুর, গ্রিনরোড, বসুন্ধরা সিটির পেছনের রাস্তা, তেজকুনি পাড়া, তেজতুরী বাজার, খিলগাঁও, গোড়ান, বাসাবো, নয়াপল্টন, কাকরাইল, মৌচাক, মগবাজারের ভেতরের দিকে গলি, ফার্মগেট থেকে কারওয়ান বাজার এলাকার অধিকাংশ সড়কই পানিতে তলিয়ে রয়েছে। কোথাও হাঁটু পানি, আবার কোথাও কোমর পানি জমে রয়েছে। বৃষ্টি চলতে থাকায় জমা পানির পরিমাণ বাড়ছেই।

মিরপুরের ১১ নম্বর কালশী রোড, কাজীপাড়া, সেনপাড়া, ১৩ নম্বর সেকশন এগুলোর বিভিন্ন সড়কে পানি জমে গেছে। মিরপুর ৬ নম্বরের একাংশ, ১০ নম্বর গোলচত্বরের সড়কের একাংশও পানিতে ডুবে গেছে। বাচ্চাকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে এক অভিভাবক জানান, আজ বাচ্চার স্কুলে পরীক্ষা। তাই যেতে হয়েছে। নিজের মোটরসাইকেল থাকায় পরিবহন খোঁজার ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। এমনিতেই বৃষ্টি, তার ওপর রাস্তায় পানি জমে থাকায় বেশ অসুবিধা হয়েছে।

মিরপুর ১ নম্বর ছাপাখানার মোড় থেকে আনসার ক্যাম্প বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন অনেকেই। বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় অনেককেই ভ্যানে করে যাতায়াত করতে দেখা যায়।

বসুন্ধরা সিটির পেছনের রাস্তার বাসিন্দা রুমা আহমেদ জানান, বাসার সামনে কোমর পর্যন্ত পানি জমে যাওয়া অফিস যেতে পারেননি আজ। বাসার সামনেও দাঁড়ানোর উপায় নেই। আধাঘন্টা বৃষ্টিতে ভিজে কোনো পরিবহণ না পেয়ে বাসায় ফিরে গেছেন তিনি।

খিলগাঁও থেকে সকালে অফিসের উদ্দেশে বের হন আফসানা। তিনি বলেন, বাসার সামনে মূল ফটকের সামনেই পানি। অনেক ক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো রিকশা পাওয়া গেল না। খোলা নর্দমার কারণে নোংরা পানি পার হয়েই অফিসের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। ভাড়াও গুনতে হয়েছে অন্য সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ। অফিসে পৌঁছেছেন ভিজে।

P/A

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে