আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে নিজেদের সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে মরিয়া বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো। তারই জের ধরে আগামী ৬-৭ বছরের মধ্যেই বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ পরমাণু শক্তিধর দেশ হতে যাচ্ছে পাকিস্তান। নিজেদের সমীক্ষা শেষে এ তথ্য জানিয়েছে ৫০১টি সংগঠনের জোট যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টস (এফএএস)। তাদের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বুধবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।

জানা গেছে, দেশটির কাছে এখন পরমাণু অস্ত্র রয়েছে ১৪০-১৫০টি। তাদের পরমাণু উন্নয়ন কার্যক্রম বর্তমান গতিতে চলতে থাকলে ২০২৫ সাল নাগাদ এ অস্ত্রের সংখ্যা দাঁড়াবে ২২০ থেকে ২৫০টি।

এ ব্যাপারে ‘পাকিস্তানি নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এফএএস’র বিজ্ঞানী হ্যান্স এম ক্রিসটেনসেন, রবার্ট এস নররিস ও জুলিয়া ডায়মন্ড বলেন, ‘আমাদের অনুমান, বর্তমান গতিতে কার্যক্রম চলতে থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ ২২০ থেকে ২৫০ এর বেশি হবে। তাহলে ২০২৫ সালে বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ পরমাণু শক্তিধর দেশ হয়ে যবে পাকিস্তান।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক দশকে পাকিস্তানের পরমাণু নিরাপত্তা নিয়ে মার্কিন পর্যবেক্ষণ আত্মবিশ্বাস থেকে উদ্বেগে পরিণত হচ্ছে। চারটি প্লুটোনিয়াম উৎপাদন রি-অ্যাক্টরসহ ইউরেনিয়াম সক্ষমতা ক্রমেই বাড়ছে বিধায় আগামী দশ বছরে দেশটির মজুদ বাড়বেই।

এফএএস’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশটির সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে পারমাণবিক শক্তির এ তথ্য বের করে আনা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র সংখ্যা নিয়ে ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০২০ সালে দেশটির হাতে ৬০-৮০টি পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে। কিন্তু তাদের সে আভাস ছাড়িয়ে পাকিস্তানের বর্তমান পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০টি।

B/P/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে