ডেস্ক রিপোর্ট : ভূমিকম্প বা অগ্নিকান্ডে বিশতলা পর্যন্ত উচ্চতা থেকে যে কোন মানুষকে উদ্ধারের সক্ষমতা অর্জন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এখন থেকে বিভাগীয় শহরের সরু রাস্তা দিয়ে ভিতরে ঢুকে আগুন নিভাতে পারবে।
আজ বুধবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর মিরপুর ফায়ার সার্ভিস কমপ্লেক্সে এই ধরনের বিভিন্ন ভারি যন্ত্রপাতি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরকে হস্তান্তর করে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ রিয়াজ আহমেদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মেদ খানের নিকট ৮৭ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি হস্তান্তর করেন।
এ সময়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মোঃ শাহ্ কামাল উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, যে কোন পরিস্থিতিতে দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জনে সরকার প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। দক্ষিন পূর্ব এশিয়ায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশকে নেতৃত্ব প্রদানের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ডে পারিবারিক ও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সচেতনতা ও প্রস্তুতির উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, মহল্লাভিত্তিক সাড়াদান কর্মিবাহিনী গড়ে তুলতে হবে। মহল্লাবাসীকেই নিজেদের এলাকার ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড মোকাবিলার পরিকল্পণা তৈরী করে সে অনুয়ায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, সম্পদ ও ভূমির চেয়ে নিজের ও পরিবারের জীবনের অধিক মূল্য দিতে হবে। শহরের সরু রাস্তা প্রশস্থ করতে এবং জরাজীর্ণ ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিল্ংি কোড মেনে ঘরবাড়ি, কলকারখানা, অফিস-আদালত নির্মাণ করতে হবে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের আধুনিক প্রশিক্ষনের উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, যথাযথ প্রশিক্ষন না থাকলে দুর্যোগ মুহুর্তে কর্মীরা মনোবল হারিয়ে ফেলবে। নতুন ক্রয়কৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির মাধ্যমে এ মহড়া পরিচালিত হয়।
এই উদ্ধার সরঞ্জাম দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২৫০টি ইউনিট একসাথে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করতে পারবে। পারবে একবারে ৬০ টন ধংসস্তুপ অপসারন করতে। মন্ত্রী পরে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ডে উদ্ধার মহড়া প্রত্যক্ষ করেন।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে