নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের এক দফা দাবিতে বিএনপিকে মাঠে নামার পরামর্শ দিয়েছেন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়।এ বৈঠকে পেশাজীবী নেতারা এক দফার দাবিতে কর্মসূচি দিলে তাতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার কথা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন এবং পেশাজীবীদের বক্তব্য শোনেন। তবে এ বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে দলীয়ভাবে বিএনপি সে বিষয়ে সাংবাদিকদের কিছু জানায়নি।
সুত্র জানায়, দলের কেন্দ্রীয় ও অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে দুই দফা ছয় দিন সিরিজ বৈঠকের পর পেশাজীবী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করার জন্য এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। টানা দুই দিনের বৈঠকের শুক্রবার প্রথম দিনের বৈঠক হয়েছে। শনিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে পুনরায় পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সিনিয়র নেতারা।
শুক্রবারের বৈঠকে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন, আইনজীবী ফোরাম, ডাক্তার এসোসিয়েশন, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, এগ্রিকালচার অ্যাসোসিয়েশন, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোট, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী ফোরাম, আইনজীবী সমিতি সুপ্রিম কোর্ট, আইনজীবী ফোরাম, ঢাকা জাজ কোর্ট, ঢাকা আইনজীবী সমিতি, এমবিএ অ্যাসোসিয়েশন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, ডিপ্লোমা এগ্রিকালচার অ্যাসোসিয়েশন, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন, টেক্সটাইল অ্যাসোসিয়েশন, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোট, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, ফিজিওথেরাপিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, ইউনানি আয়ুর্বেদী ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনসহ ২০টি পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
বৈঠকের শুরুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়া কারাবন্দি, গণতন্ত্রের যে সংকট, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এর থেকে উত্তরণে আপনাদের মতামতের আহ্বান করেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান।
পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন- অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আজম খান, ফজলুর রহমান, ফরহাদ ডালিম ডোনার, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খকন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, ডা. আব্দুস সালাম, ডা. আব্দুস সেলিম, ডা. শহিদুল আলম, ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. শফিকুল হায়দার পারভেজ, প্রকৌশলী মাহবুল আলম, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, সেলিম ভুঁইয়া, শামীমুর রহমান শামীম, অ্যাডভোকেট আবদুল জব্বার ভূইয়া, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী, অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম খান, কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন, কৃষিবিদ জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল ফারুক, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, অ্যাডভোকেট খন্দকার মোহাম্মদ হজরত আলী, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান আনিস, অ্যাডভোকেট তাসলিমা আক্তার, অ্যাডভোকেট রমিজ উদ্দিন আহমেদ, প্রকৌশলী ইবনে ফজল সাইফুজ্জামান সেন্টু, প্রকৌশলী মুসলিম উদ্দিন, জাকির হোসেন, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান, অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন তরফদার, অধ্যাপিকা কামরুন নাহার লিজি, জাহানারা সিদ্দিকী, শেখ মনিরউদ্দিন, কামরুল হাসান সরদার, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. ফখরুজ্জামান, জিয়াউল হায়দার পলাশ, সৈয়দ জাহিদ হোসাইন, প্রকৌশলী ফখরুল আলম, প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, রোকেয়া চৌধুরী বেবী, পারভিন কাওসার মুন্নী, সুমনা আক্তার স্মৃতি, শাহনাজ আক্তার রফিকুল ইসলাম, এ কে এম মুসা লিটন, মামুনুর রশীদ, কামরুজ্জামান কল্লোল, ডা. মির্জা লিটন, ডা. আমিনুল বারী কাকনসহ শতাধিক পেশাজীবী নেতা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের শুরুতে শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স। পরিচালনা করেন প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহযোগিতায় ছিলেন তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড খান রিয়াজুদ্দিন নসু, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মনির হোসেন, বেলাল আহমেদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার, প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন দিদার।
ban/N