আহমদ রেজা, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নে এক পিতার মৃত্যুর পর ছেলে মেয়েরা সময় মতো দাফন করতে না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এলাকা বাসীর।

এবিষয়ে জানা যায়, বড়উঠানের ৮ নং ওয়ার্ডের কেরানীর বাড়িতে ৫০ লাখ টাকার ভাগাভাগি নিয়ে মরহুম মনির আহমেদের লাশ উঠানে ফেলে রেখে ২০ ঘণ্টা ধরে বিরোধে জড়ায় তার সন্তানরা।

প্রায় ২৪ ঘণ্টা তার লাশ পড়ে ছিল একটি এম্বুলেন্সে। রোববার বিকেল ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার লাশ দাফন হয়নি।

সেই সূত্রে জানা গেছে শনিবার সন্ধ্যায় পরপারে পাড়ি জমান সাবেক পদ্মা অয়েল গ্রুপের কর্মকর্তা মনির আহমেদ । পরে তার লাশ নিয়ে এ্যামবুলেন্সে রাখা হয়। এবং মৃত্যুর পর ওয়েল কোম্পানি থেকে তার রেখে যাওয়া ৫০ লাখ টাকা নিয়ে ভাই-বোনের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিত্বর্ক থাকায় রবিবার বিকেলেও লাশ দাফনের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি।

বিষয়টি সমাধানে সালিশি বৈঠক ও ডাকা হয়। তাতে ও সমাধান না হলে ঘটনাস্থলে আসে কর্ণফুলী থানা পুলিশ।

স্থানীয়দের তথ্য মত মনির আহম্মদ চাকরির অবসরের সময় কোম্পানি থেকে ৫০ লাখ টাকা পাই। সে টাকা ভাগাভাগি না হওয়া পর্যন্ত লাশ দাফন করতে দিচ্ছে না তাদের সন্তানরা।

বৃদ্ধের সন্তানদের এমন কীর্তিতে হতবাক হয়ে গেছেন স্থানীয়রা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

মনির আহম্মদের বড় ছেলের অভিযোগ, তাদের বোন বেবি আক্তার তার বাবার একাউন্টের ৫০ লাখ টাকা বোন বেবি তুলে নিছে। ওই টাকার কোনো হিসাব পাচ্ছে না। তাই এলাকার সালিশকারদের বৈঠকে একটা সমাধান করতে চান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিন বলেন, মনির আহম্মদ মারা যাওয়ার পর তাদের সন্তানদের মধ্যে টাকার বিরোধ চলছিল। সেটা এখনো সমাধান হয়নি আমি ঘটনাস্হলে আছি। এবং পার্শবর্তীর এক জন মহিলা তথ্য মতে জানা যায় বেবী রহিমের বড় মেয়ে তার স্বামী গত বছর মারা গেছেন। আর বাবার মৃত্যুর আগে তিন বোন দেখা শোনা করতেন (চসিক) হাসপাতালে। পালা ক্রমেই। গত শনিবার বাড়িতে আনার পর বড় জানতপ পারে বোন দের নামে অবসরে টাকা তিন বোনের নামে ১০ লক্ষ করে জমা রেখে গেছেন। আর ১৮ লক্ষ টাকার মরহুম রহিমের এক জন বিশ্বস্থ লোকের নিকট জমা রাখেন যখন উঠানে লাশবাহি গাড়ি এনে বসিয়ে রাখেন এবং বড় ছেলে ছোট ভাই প্রবাসী সে আসবে বলে বিভিন্নধরনের অজুহাত দেখিয়ে লাশ দাফন করতে দেয়না।এক পর্যায় জানা৷ যায় বড় ভাই তিন বোনকে ঘর বন্দী করে টাকার জন্য বড় ভাইয়ে স্ত্রী ও মা মিলে তিন বোনকে মারধর করে এবং বলে বাবা যে টাকা দিয়েছে তা ফেরত দিতে বোন রা টাকার বিষয় কিছু জানেন বলে জানালে বললে তাদের কে হাত পা বেদর মারদর শুরু করে। শেষ মেশ দাফন হয় গত কাল ১০ টায়

এ প্রসঙ্গে বড়উঠানের ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল আলম দিদার বলেন, আমি এ সম্পর্কে এখনো কিছু জানি না তবে কিছুক্ষণ আগে একজন গণমাধ্যমকর্মী জানিয়েছেন একজন লোক মারা গেছে তার রেখে যাওয়া টাকার ভাগাভাগির জন্য লাশ দাফন করতে দিচ্ছে না। ঘটনা বিষয়ে কোন সমাধান মিলে না পরে স্থানীয়রা ধিক্কার জানিয়ে দেখে চলে জান। হায়রে দুনিয়া যাদের জন্য পৃথিবীর মুখ দেখেছে আজ তাদের লাঞ্ছিত করে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে