ডেস্ক রিপোর্ট : নিউ ইয়র্ক, ৩০ এপ্রিল- না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রখ্যাত বাচিক শিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা কাজী আরিফ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। নিউইর্য়কের ম্যানহাটনের একটি হাসপাতালে স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে কাজী আরিফকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।  নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের মাউন্ট সিনাই সেন্ট লিওক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। নিউইয়র্ক প্রবাসী বাচিক শিল্পী মিথুন আহমেদের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম কাজী আরিফের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।  এর আগে ওই হাসপাতালে গত ২৫ এপ্রিল তার হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর থেকেই কাজী আরিফের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন একাত্তরের এই মুক্তিযোদ্ধা। শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় কাজী আরিফকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করা হয়। ১৯৫২ সালের ৩১ অক্টোবর রাজবাড়ী জেলায় জন্ম নেয়া কাজী আরিফ বেড়ে ওঠেছেন বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। শিক্ষা ও শিল্প-সাহিত্যের চর্চার হাতেখড়িও সেখানে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) স্থাপত্য বিদ্যা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন তিনি। একাত্তরে ১ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন কাজী আরিফ। পরবর্তীতে বাংলাদেশে আবৃত্তিচর্চা ও আবৃত্তিকে আধুনিকতায় রূপ দিতে তিনি অন্যতম ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৮০ সালের দিকে কাজী আরিফের প্রথম আবৃত্তির অ্যালবাম ‘পত্রপুট’। শিল্প-সংস্কৃতির চর্চাকারী কাজী আরিফ একসময় রাজধানীর ইন্দিরা রোডের বাসায় নিয়মিত চৈত্রসংক্রান্তির উৎসবের আয়োজন করতেন। জাতীয় বসন্ত উদযাপন পর্ষদেরও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। কাজী আরিফ রেডিও, টেলিভিশনে নিয়মিত আবৃত্তি করতেন। দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রে ও থাইল্যান্ডে তার একক আবৃত্তি অনুষ্ঠান হয়েছে। কলকাতায় বিভিন্ন আসরে আবৃত্তি করেছেন তিনি। আবৃত্তির জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠন থেকে পুরস্কারের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের থেকে ফোবানা পুরস্কার এবং কলকাতা থেকে বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন কাজী আরিফ।

দেশ/বিদেশে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে