বাংলাদেশ সরকার সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশ থেকে চীনে প্রবেশ সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেছে। কূটনৈতিক, পরিষেবা, সৌজন্য বা সি ভিসাধারীদের চীনে প্রবেশ এ নোটিশের আওতাভুক্ত হবে না।

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বৈধ চীনা ভিসা বা আবাসনের অনুমতি প্রাপ্ত বাংলাদেশে থাকা চীনের নাগরিক নন এমন ব্যক্তিদের সাময়িকভাবে চীনে প্রবেশ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

বৃহস্পতিবার দূতাবাসের ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস উপরে উল্লেখিত কর্মীদের জন্য প্রত্যয়িত স্বাস্থ্য ঘোষণাপত্র আপাতত আর সরবরাহ করবে না।

কূটনৈতিক, পরিষেবা, সৌজন্য বা সি ভিসাধারীদের চীনে প্রবেশ এ নোটিশের আওতাভুক্ত হবে না।

এছাড়া, জরুরি প্রয়োজনে চীন সফরকারী বিদেশি নাগরিকরা চীনা দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে পোস্টে বলা হয়।

আজকের পরে ইস্যু করা ভিসা প্রাপ্ত বাংলাদেশে বসবাসরত চীনা নাগরিক নন এমন ব্যক্তিদের চীনে প্রবেশও এ নোটিশের আওতাভুক্ত হবে না।

দূতাবাস জানায়, স্থগিতাদেশটি কোভিড-১৯-এর বর্তমান পরিস্থিতিতে গৃহীত একটি অস্থায়ী পদক্ষেপ।

উল্লিখিত ব্যবস্থাগুলো পরিবর্তিত পরিস্থিতি অনুসারে মূল্যায়ন করা হবে এবং সে অনুযায়ী যেকোনো পরিবর্তন সময়মতো জানিয়ে দেয়া হবে।এ মহামারিতে সারা বিশ্বে ৪ কোটি ৮৫ লাখ ২২ হাজার ৮৯১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৮৮ জন সেরে উঠলেও প্রাণ গেছে ১২ লাখ ৩২ হাজার ৩২২ জনের। বাকি ১ কোটি ২৫ লাখ ২৪ হাজার ৯৮১ জন মৃদু বা মারাত্মক উপসর্গ নিয়ে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছেন।

ডিসেম্বরে চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। ওইদিন তিন জন করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তদের তথ্য অনুযায়ী গতমাস থেকে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। 

POW/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে