ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রায় অর্ধ শতাব্দী পর পাকিস্তান এখন উল্টো দাবি করছে, তারা নাকি বাংলাদেশের কাছে প্রায় ৯০০ কোটি পাকিস্তানি রুপি (৯.২১ বিলিয়ন) পাবে। শুধু তা-ই নয়, কথিত সেই পাওনা ফেরত চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন মঙ্গলবার এ খবর দিয়েছে। পত্রিকাটিরএক বিশেষ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ভারত ও বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ১৫ দশমিক ২৫ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি পাওনা দাঁড়িয়েছে। ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত হিসাব করে তারা অর্থের এ পরিমাণ নির্ধারণ করেছে। তাদের হিসাবে ভারতের কাছে পাওনার পরিমাণ ৬ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি। আর বাংলাদেশের কাছে কথিত পাওনার পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৯ দশমিক ২১ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি।
স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান দেশটির সকল বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে বাংলাদেশ ও ভারতে তাদের সম্পদের হিসাব ও পাওনার বিষয়ে নতুন করে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের আশাবাদ, নতুন করে হিসাব করলে পাওনার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। তবে কোনো সম্পদ অথবা পাওনা যদি বিনিময়কেন্দ্রিক হয়, তারও বিস্তারিত বিবরণ হাজির করতে বলা হয়েছে।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১-পূর্ববর্তী সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের কাছে পশ্চিম পাকিস্তানের যে অর্থ পাওনা ছিল তা বর্তমানে ৯ দশমিক ২১ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি হয়েছে। অ্যাসেট ভ্যালুয়েশনের মধ্য দিয়ে প্রকৃত পাওনা নিরুপণ করা হয়েছে।
অ্যাসেট ভ্যালুয়েশন এমন একটি প্রক্রিয়া, যা ব্যবহার করে কোনো সম্পত্তির প্রকৃত অর্থমূল্য নিরুপণ করা হয়।
একই সাথে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে বিবেচনায় নিয়ে দিল্লির কাছেও ৬ বিলিয়ন রুপি পাওয়ার দাবি করছে পাকিস্তান। এর মধ্যে রয়েছে গোল্ড রিজার্ভ, স্টার্লিং সিকিউরিটিজ, ইন্ডিয়ান সিকিউরিটিজ, রুপি কয়েন এবং দেশভাগের সময় ভারতের মুদ্রায় পাকিস্তানের শেয়ার। মুদ্রা ছাপানোর জন্য পাকিস্তান ভারতকে দেনা পরিশোধ করলেও ভারত সাত দশকেও তা করেনি বলে অভিযোগ করেছে পাকিস্তান সরকার। আর এ খাতে ভারতের দেনা ধরা হয়েছে ৪০ মিলিয়ন রুপি।
টি/টি/ই/ন