ডেস্ক রিপোর্টঃ স্থানীয় সরকার ,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন,
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতিসহ সারাবিশ্বের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের দর্শন। বিশ্বের সব নিপীড়িত মানুষের অবলম্বন এবং অনুপ্রেরণা।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিটি বাক্য এ দেশের মুক্তিকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস ছিল। ভাষণটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার মধ্যদিয়ে এটাই প্রমাণ হয়েছে যে, এটি শুধু একটি ভাষণই না, এটি বাঙালি জাতিসহ সারাবিশ্বের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের দর্শন। বিশ্বের সব নিপীড়িত মানুষের অবলম্বন এবং অনুপ্রেরণা।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ‘ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ‘বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য’-র স্বীকৃতি লাভের অসামান্য অর্জন উপলক্ষে ফরিদপুরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লোকমান হোসেন মৃধা,সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর,জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) জামাল পাশা প্রমুখ।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ায় জাতি আজ গর্বিত। এ ভাষণ বাঙালি জাতির ইতিহাস ও অস্তিত্ব। এ ভাষণের প্রতিটি বাক্য এ দেশের মুক্তিকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস ছিল।
এর আগে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় সারাদেশের ন্যায় ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য জমায়েত হয়ে সকাল ১০টায় আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। আনন্দ শোভাযাত্রা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে জনতা ব্যাংক মোড় হয়ে সরকারি সারদা সুন্দরী কলেজের সামনে দিয়ে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ প্রাঙ্গণে শেষ হয়।
পরে কলেজ প্রাঙ্গণে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর একই স্থানে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে