মারুফ সরকার, বিনোদন প্রতিনিধি : চলতি বছরের প্রথম মাসে ছবি মুক্তির ধীর গতি দেখে আগে থেকেই অনুমান করা গিয়েছিল যে, ফেব্রুয়ারি মাসে ছবি মুক্তির হিড়িক পড়বে। তবে উল্লেখ করার বিষয় হলো জানুয়ারি মাসে মুক্তি পাওয়া তিনটি ছবির মধ্যে একটি ছিলো বিদেশ থেকে আমদানি করা। আর সেটি হলো কলকাতার বাংলা ছবি হুল্লোড়। অপর দুটি ছবি হলো জয়নগরের জমিদার ও কাঠবিড়ালি। বছরের প্রথম মাসের প্রতি নির্মাতাদের এতো অনীহা কেন ছিলো তা স্পষ্ট নয়।

তবে প্রথম মাসের দুই শুক্রবারই কোনো ছবি মুক্তি পায়নি। ফেব্রুয়ারি মাসে ছবি মুক্তির চাপ বেড়েছে। শাকিব খানের এসকে প্রোডাকশন প্রযোজিত বীর ছবিটি মঙ্গলবার সেন্সর বোর্ড দেখেছে। ছবিটির পরিচালক কাজী হায়াৎ জানান, বীর ছবিটি বীরদর্পেই সেন্সরের বৈতরণী পার হয়ে এসেছে। এই ছবিটি আগে থেকেই বলা ছিল, ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে মুক্তি দেওয়া হবে। এদিন আমরা একটি সিনেমা বানাবো অধ্যায় ২-ও মুক্তির জন্য প্রযোজক পরিবেশক সমিতিতে আবেদন করেছে ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।

প্রযোজক পরিবেশক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ৭ ফেব্রুয়ারি হৃদয় ছোঁয়া গন্ডী, ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্যাশ্রম ও নীল ফড়িং এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি হৃদয় জুড়ে ও ডিটেক্টিভ ছবি মুক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে। এর মানে ফেব্রুয়ারি মাসে সাতটি ছবি মুক্তি পেতে পারে। কিন্তু চলচ্চিত্রের বর্তমান বিপর্যন্ত পরিস্থিতিতে কয়টি ছবি মুক্তি পেল তা চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য হয়তো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো কয়টি ছবি ব্যবসা সফল হলো।

কারণ ছবি ব্যবসা সফল হতে শুরু করলেই নতুন লগ্নিকারকরা এগিয়ে আসবেন। তাতে ছবি নির্মাণ বাড়বে এবং চলচ্চিত্রশিল্পের ধমনীতে নতুন রক্ত সঞ্চারিত হবে। এছাড়া ছবি যদি ব্যবসা সফল না হয়, তাহলে সিনেমা হলও বাঁচবে না। দেশে এমনিতেই সিনেমা হলের সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। এখানে বড় বাজেটের কোনো ছবি তৈরি হলে লগ্নি উঠিয়ে আনার কোনো সুযোগ নেই। নির্মাতাদের উচিত কম বাজেটে দর্শক পছন্দ হওয়ার মতো ছবি নির্মাণ করা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে