মারুফ সরকার, ঢাকা থেকেঃ সরকার সবার জন্য বাসস্থান নিশ্চয় করবেন এটা সরকারের ইস্তাহার ছিল।কিন্তু সেই কল্পনা বেগম বাসস্থান পাচ্ছে না।  কল্পনা বেগম একজন ফুল বিক্রেতা।  তিনি ১৯৮৮ সালের বন্যার পর কিশোরগঞ্জ থেকে বিবাহসূত্রে ঢাকায় চলে আসেন। তিনি রাজধানী ঢাকার শেকের টেক এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের একজন স্থায়ী বাসিন্দা।   তিনি ৫০ টাকা গোছা ফুল কিনে এনে দরিদ্র বাচ্চাদের মাধ্যমে তা বিক্রি করে এতে করে ছেলে মেয়েগুলো কোনভাবে খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারে। তার কথামতে তখনকার সময় এবং বর্তমান সময়ের মানবতার এবং সহনশীল মনোভাবের বড় অভাব।
তিনি দৈনিক ৫০০-৮০০ টাকার ফুল বিক্রি করেন।  এমনকি তার ওপর আরো বেশ কিছু পরিবার নির্ভরশীল।সেখানে তিনি বকুল ফুল কুড়িয়ে মালা তৈরি করেন এছাড়াও গোলাপ কিংবা রজনীগন্ধা ফুল ও বিক্রি করে থাকেন।  প্রতিবেদন গ্রহনকালে তার নিকট থেকেই তার মত আরোও বেশ কিছু পরিবারের দুঃখ ভারাক্রান্ত জীবনের গল্প জানতে পারি।  তিনি ৬ সন্তানের জননী হওয়া সত্বেও ৩ জন ছেলেকেই সড়ক দূর্ঘটনার শিকারে মৃত্যুবরণ করতে হয়।  তার নিকট থেকে জানা যায় এলাকার কমিশনার এর নিকট বিভিন্নভাবে আবেদন সত্বেও তাদের জন্য কোন সু্যোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়নি।
তার অভিযোগ হলো তিনি জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে দিন যাপনের পরও কেন তাদের জন্য কোন প্রকার প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা।তিনি চান সরকারী ভাতা এবং তাদের প্রাপ্য সুবিধাগুলো যেন তারা পেতে পারেন।এ ব্যাপারে কল্পনা বেগম আক্ষেপ করে বলেন, সারাদিন সংসদ ভবনের সামনে ফুল বিক্রি করি তা সরকারের কি আমাদের চোখে পরে না। আমরা খুব দুঃখ করে থাকি। তাই আমাদের মতো যারা হতভাগা আশে তাদের জন্য সরকার যেন বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে