primary school

বিডি নীয়ালা নিউজ(৯ই জুন ২০১৬ইং)- ডেস্ক রিপোর্টঃ  জাতীয়করণ হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন করে যে পঞ্চম পদ (আগে প্রধান শিক্ষকসহ চারজন ছিলেন, এখন পাঁচজন) সৃষ্টি করা হয়েছে, সেটির হিসাব ধরেই প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এর ফলে বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের প্রায় সবাই নিয়োগ পাবেন বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আজ বৃহস্পতিবার এসংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে।

উপজেলা মেধাক্রম অনুযায়ী শূন্য পদে প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে গত সোমবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। কিন্তু ওই নির্দেশনায় পঞ্চম পদের বিষয়টি স্পষ্ট না করায় জেলা কর্মকর্তারা এটির হিসাব না করেই শূন্য পদের তালিকা করেন। তাতে দেখা যায়, মাত্র কয়েক হাজার নিয়োগ পেতে পারেন। অথচ কাগজপত্রে প্যানেলভুক্ত প্রার্থী রয়েছেন প্রায় ২৮ হাজার। এ নিয়ে প্যানেলভুক্ত প্রার্থীরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই সমস্যার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি এ নিয়ে একজন আইনজীবী আইনি নোটিশ পাঠান।

এরপর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জেলা কর্মকর্তাদের কাছে নতুন নির্দেশনা পাঠায়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্রমতে, সারা দেশে জাতীয়করণ হওয়া বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২২ হাজার ৯২৫টিতে পঞ্চম পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। অর্থাৎ এসব বিদ্যালয়ে চারজন সহকারী শিক্ষক ও একজন প্রধান শিক্ষক থাকবেন। এর পাশাপাশি কয়েক হাজার শূন্য পদ রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় সব প্যানেলভুক্ত প্রার্থীই নিয়োগ পাবেন।

উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য প্যানেলভুক্ত প্রায় ২৮ হাজার জনকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে নতুন নতুন সমস্যা সামনে আসছে।

২০১০ সালের ১১ এপ্রিল রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ৪২ হাজার ৬১১ জনকে নিয়োগের জন্য একটি প্যানেল গঠন করা হয়। এঁদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার জনকে নিয়োগ দেয় সরকার। সবাইকে নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা দিলেও ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলে প্যানেল থেকে নিয়োগ দেওয়া বন্ধ করে দেয় সরকার। এরপর নিয়োগবঞ্চিত ও প্যানেলভুক্ত প্রার্থীরা আদালতে যান। আদালত তাঁদের পক্ষে রায় দেন। সে অনুযায়ী এখন নিয়োগ-প্রক্রিয়া চলছে।

p/a

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে