আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ পোপ ফ্রান্সিস সোমবার মিয়ানমারে পৌঁছেছেন। সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর জাতিগত নিধনে অভিযোগে বিশ্বজুড়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়া বৌদ্ধ প্রধান এই দেশটিতে তার এই সফর অত্যন্ত স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। খবর এএফপি’র।
ইয়াংগন বিমানবন্দরে ক্যাথলিকরা ঐতিহ্যবাহী বর্ণিল জাতিগত পোশাক পরে পতাকা নেড়ে ও নৃত্য করে আনন্দঘণ পরিবেশে এই প্রথমবারের মত দেশটি সফরে আসা পোপকে উষ্ণ অভিবাদন জানায়।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর জাতিগত নিধন চালানোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি এই সফর করছেন। গত তিন মাসে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্য থেকে ৬ লাখ ২০ হাজারেরও বেশী রোহিঙ্গা মুসলমান প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।
পোপের চারদিনের এই সফর রাষ্ট্রহীন সংখ্যালঘুদের সঙ্গে আচরণের বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর যে চাপ রয়েছে তা তীব্রতর করবে।
তার বক্তব্য রক্ষণশীল বৌদ্ধদের কাছে সমালোচিত হতে পারে। কারণ তারা ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি বলতেই নারাজ। তারা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম অবৈধ অভিবাসী হিসেবে উল্লেখ করে থাকে।
ফ্রান্সিস মিয়ানমারের বেসামরিক নেতা নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সাং সু কি’র সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। পোপ সেনাবাহিনী প্রধান মিন অং হাইং-এর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে