মোঃ কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) থেকেঃ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় সহযোগী আসামী করে হয়রানির চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ শিক্ষক সমাজ উক্ত শিক্ষকের মামলা প্রত্যাহারে জন্য দাবী জানিয়েেেছ। গত ১৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় মাগুড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।

অভিযুক্ত শিক্ষকের দেয়া অভিযোগে জানা গেছে কিশোরগঞ্জে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা আরশী আক্তার (পাখি) অনশন শুরু করলে পরদিন ২০ এপ্রিল শুক্রবার কিশোরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এস,আই) মামুন ঘটনাস্থলে এসে অনশনকারী পাখি আক্তারকে থানায় নিয়ে এসে কোন সূরাহা না হলে একদিন থানা হেফাজতে থাকার পর ২১এপ্রিল উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে তার বাবা মায়ের জিম্মায় দেন পাখি আক্তারকে।

কিন্তু একটি কুচক্রি মহল পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৮এপ্রিল-২০১৮ইং তারিখে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ আদালত,নীলফামারীতে নারী শিশু নির্যাতনের বিশেষ আইনের (সংশোধনী)০৩১এর ৯(১)৩০ধারা মতে নালীশ, মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মাগুড়া খামাতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আজাদুল করিম (আজাদ)কে ২নং আসামী দেখানো হয়েছে। উল্লেখ্য যে, শিক্ষক আজাদুল করিম (আজাদ) গত ১৬ এপ্রিল-২০১৮ হইতে ২১এপ্রিল-২০১৮ইং পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার উপজেলা রিসোর্স (ইউ,আর,সি) সেন্টারে সংগীত বিষয়ক প্রশিক্ষনে ছিলেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে বাদী উল্লেখ করেছেন ভিকটিম আরশী আক্তার পাখি বিদ্যালয় হইতে আসার পথে ৪.৩০মিনিটে ১নং আসামী তার পথরোধ করে ধরে আব্দুস ছালামের পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করেন। ২নং আসামী তার কমর হইতে ছুড়ি বের করে ভিকটিমকে মৃত্যুর ভয় দেখান বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন। ২নং আসামী শিক্ষক আজাদুল করিম আজাদ জানান সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আমি কিশোরগরঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষার উপজেলা রিসোর্স (ইউ,আর,সি) সেন্টারে সংগীত বিষয়ক প্রশিক্ষনে ছিলাম এটি একটি মিথ্যা সাজানো ঘটনা আমাকে হয়রানি করার জন্য এ মামলায় আসামী করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে