বাংলাদেশ পুলিশ (অধস্তন কর্মচারী) কল্যাণ তহবিল আইন-২০২১ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

এর ফলে সাব-ইন্সপেক্টর ও তার অধস্তন (নিচের কর্মকর্তা) যারা থাকবেন তারা সবাই ওই আইনের অন্তর্ভুক্ত হবেন।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আগেই একটা অধ্যাদেশ ছিলো, আপনারা জানেন যে, সামরিক শাসনের সময় যে অধ্যাদেশ ছিল সেগুলো বাদ দিয়ে নতুন আইন করতে হবে। সেটা হলো বাংলাদেশ পুলিশ (অধস্তন কর্মচারী) কল্যাণ তহবিল আইন-২০২১ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন। এটা আগেই ছিলো। যেমন পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর থেকে নিচ পর্যন্ত যারা তাদের জন্য আলাদা একটা কল্যাণ তহবিল আইন আছে। সেটা যেহেতু অধ্যাদেশ ছিলো ২০১৩ এর জাজমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে এটাকে আইন করতে হবে। এটাকে আইন হিসেবে নিয়ে আসছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের সরকারি কর্মচারী কল্যাণ তহবিল আছে। পুলিশ বা বিভিন্ন ইউনির্ফম সার্ভিসে দুইটা। পুলিশের হলো ১০ গ্রেড থেকে ২০ গ্রেড পর্যন্ত একটা। আর ১০ গ্রেডের ওপরে যেটা আমাদের সরকারি কর্মচারী আইন দিয়ে চলে। কিন্তু তারা আবার এটার মধ্যে পরে না। সেজন্য এই আইনটা নিয়ে আসা হয়েছে কল্যাণ ফান্ডটা যাতে পায় বা ব্যবহার করতে পারে। সেক্ষেত্রে মাসিক চাঁদা ৮৫ টাকা অথবা বোর্ড থাকবে বোর্ড যেটা নির্ধারণ করে দেবে। এখান সাব-ইন্সপেক্টর ও তার অধস্তন (নিচের কর্মকর্তা) যারা থাকবে তারা সবাই অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সেখানে সরকারি কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের মতো যে বোর্ড আছে সেরকম এখানেও একটা বোর্ড থাকবে। আইজিপি নিজেই সে বোর্ডের চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, এখানে কিছু কিছু বিষয় আগেই ছিলো এখনও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদি কেউ মারা যায় সেক্ষেত্রে উত্তরাধিকারীরা কারা কীভাবে পাবে। সেটা মুসলিম পরিবার আইন বা হিন্দু আইনে যেভাবে আছে সেভাবেই পাবে। যদি কোথাও কোনো এক্সট্রা লোকজন থাকে। পরিবারের কে কীভাবে বাবা-মা, ভাইরা যদি নাবালক থাকে ও বোনরা যদি অবিবাহিত থাকে বা বিধবা থাকবে এসব জিনিস অন্তর্ভুক্ত করে, কারা কারা পরিবারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবেন এ জাতীয়। সবকিছু বিধানে থাকবে। আগেও ছিলো জাস্ট আবার নতুন করে নিয়ে আসা হয়েছে।  

বোর্ডের একটা দায়বদ্ধতা থাকবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যেসব কর্মচারীরা টাকা পয়সা নেবে তা খরচ করা ও সময় সময় বেনিফিট দেওয়ার বিষয়ে দায়বদ্ধতা থাকবে বোর্ডের। মূলত ১৯৮৬ সালের অধ্যাদেশ এরপর ২০১৩ সালে হাইকোর্টের একটা জাজমেন্ট হলো তার পরিপ্রেক্ষিতে এটাকে আইনে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে সম্পাদিত সামরিক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তির খসড়ার ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে