মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ, (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা অফিসে নেই কোন সির্টিজেন চার্টার।

যেখানে সরকার বাদ্ধতামূলক ভাবে সব অফিসের সামনে সির্টিজেন চার্টার লাগানোর কথা বলেছে। সাধারণ মানুষ যাতে সহজে বুঝতে পারেন যে, ঐ অফিসে কি কি সেবা পাওয়া যাবে। পরিবার পরিকল্পনা একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ অফিস। কিন্তু সেখানে নেই কোন সির্টিজেন চার্টারের ব্যবস্থা।

গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ মানুষ হাসপাতালে এসে কোন প্রকার সুবিধা পায় না। কারণ তারা জানেনা যে পরিবার পরিকল্পানা অফিসের কাজ কি, সেখানে কি কি সেবা কিভাবে পাবেন। তা বিনামূল্যে নাকি টাকার বিনিময়াদি করতে হবে। তাও তারা যাকে না, অথচ পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইফাত আরা খানমের নেই কোন মাথা ব্যাথা। তবে অফিস সহকারী রবিউল ইসলাম বলেন আছেতো, যখন তাকে বলা হয় কোথায় আছে তখন তিনি থমকে গিয়ে বলেন, বাবাজি দেয়া ছিল রংকরা হয়েছে তাই লেখাটা মুছে গেছে।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ উপজেলার পরিবার পরিকল্পানার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা রিফাত আরা খানমকে মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি কোন সদউত্তর দিতে পারেনি। কয়েক দিন আগে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও অন-লাইন নিউজ প্রোটালে

” কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল চত্তরে মিললো মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ পেথিডিন ইনজেকশন কপারটি ও ডায়াজিপাম ঔষধ “
শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে নীলফামারী জেলার উপ- পরিচালক মোজাম্মেল হক মহোদয় দেখার জন্য আসেন। সে সময় পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে তার মুঠো ফোনে কল করলে তিনি জেলা কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে বলেন। তিনি বলেন রিফাত আরা খানম মাতৃকালিন ছুটিতে ছিলেন তাই হয়তো লেখা হয়নি।

এ সময় নীলফামারী জেলা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন তিনি মেয়ার্দ উর্ত্তীর্ণ ঔষধের রিপোটের জন্য তদন্ত কমিটি করার জন্য এসেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে যথা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর সির্টিজেন চার্টার কথা বললে তিনি বলেন আগামী সাত দিনের মধ্যে সির্টিজেন চার্টার লাগানো হবে বলে যানান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে