ডেস্ক রিপোর্ট : পদ্মার ভয়াবহ ভাঙ্গনে রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জ জেলার পাটুরিয়া ফেরিঘাট হুমকির মুখে পড়েছে। গত কয়েক দিনের ভাঙ্গনে বিস্তৃর্ন এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিরুট ঢাকার সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, ভূটানের সড়ক পথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহন এ ফেরিরুটে চলাচল করে। দৌলতদিয়ার ফেরিঘাট এলাকায় ৪টি ফেরিঘাট আছে। সার্বক্ষণিক ফেরি চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিআইডবিøউটিএ ফেরিঘাট নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। গত বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদীর অস্বাভাবিক ঘূর্ণন ও প্রবল স্রোতে দৌলতদিয়ার ফেরিঘাট এলাকাটি সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরবর্তীতে বিআইডবিøউটিএ কর্তৃক তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ফেরিঘাটগুলো নতুনভাবে নির্মাণ করে ফেরি সার্ভিস অক্ষুন্ন রাখা হয়।

তবে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকাটি এখনও অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট একটি জাতীয় জন-গুরুত্বপুর্ণ ফেরিঘাট। ইতোমধ্যে ভাঙ্গণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে বিআইডবিøউটিএ কর্তৃক বিদ্যমান ২নং ফেরিঘাটের ওপরে লঞ্চঘাটের দিকে প্রটেকশন কাজ শুরু করেছে যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। বিআইডবিøউটিএ’র কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে জানা যায় ৩নং ফেরিঘাট ও ৪নং ফেরিঘাট ২টি বিদ্যমান লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত থাকায় ২নং ফেরিঘাটের নিচের দিকে ৪নং ফেরিঘাট পর্যন্ত এলাকায় চলতি সময় প্রটেকশন কাজ ও নতুন ফেরিঘাট নির্মাণ করার কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বর্তমানে নদীর পানি ক্রমাগত দ্রুত বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

গত তিন দিনে প্রায় ৪ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সরজমিনে দেখা যায় পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ২নং ফেরিঘাটের নিচের দিকে ৪নং ফেরিঘাট পর্যন্ত এলাকায় প্রবল ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এই অংশটুকুর ভাঙ্গন কারা প্রটেকশন দিবেন তার কোন সঠিক নির্দেশনা নেই। অথচ এই অংশটুকুর ভাঙ্গন প্রতিরোধে অতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে ৩নং ফেরিঘাট এবং ৪নং ফেরিঘাট ২টিসহ ঐ এলাকাটি রাস্তাসহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। গত বর্ষা মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক উক্ত স্থানে কিছু প্রটেকশন কাজ করা হলেও বর্তমান বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে নদীগর্ভে বিলীন হতে চলছে। অপরদিকে ৩নং ফেরিঘাট এবং ৪নং ফেরিঘাট ২টি বর্তমান লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত থাকলেও সড়ক বিভাগ কর্তৃক রাস্তা নির্মাণ না করায় এই মৌসুমে ঘাট স্থানান্তর করার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

তাই ২নং ফেরিঘাটের নিচের দিকে ৪নং ফেরিঘাট পর্যন্ত এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন প্রতিরোধে অতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা না হলে এবং নতুন ফেরিঘাট নির্মাণ করা না হলে যে কোন মূহুর্তে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে আসবে।
অপরদিকে মানিকগঞ্জ জেলার পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকাতেও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ৫নং ফেরিঘাট এলাকাটি হুমকির সম্মুখীন। ফলে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকাতে দ্রুত প্রটেকশনসহ কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

ন/ভ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে