কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী থেকেঃ কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এমওপি ও টিএসপি সারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে । ফলে চাহিদামত সার না পেয়ে আগাম আলু চাষীরা পড়েছেন মহা দুশ্চিন্তায়। কিছু চাষী সার সংগ্রহ করতে পারলেও তা কিনতে হয়েছে তাদের চড়াদামে।কৃষকদের অভিযোগ এঅবস্থা চলতে থাকলে তাদের উৎপাদন খরচ অনেক গুন বেড়ে যাবে।

গত বুধবার বিকালে বেশি দামে সার বিত্রির করার জন্য বাজারের এক খুচরা ব্যাবসায়ী সবুজ মিয়ার ৫হাজার টাকা
জরিমানা করেন ভ্রম্যমান আদালত।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার এবার আগাম আলু চাষাবাদ হবে ৪হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে। এজন্য টি এসপি সারের চাহিদা রয়েছে ৩৫০ মেট্রিকটন,এমওপি ৪০০ মেট্রিকটন ও ডিএপি ৪০০ মেট্রিকটন। কিন্তু সেপ্টেম্বর
মাসে এসব সারের বরাদ্দ পাওয়া গেছে টিএসপি মাত্র ২৮ মেট্রিকটন, এমওপি ১১৭ মেট্রিকটন ও ডিএপি ১৬৮মেট্রিকটন । চাহিদার তুলনায় যৎসামান্য বরাদ্দ পাওয়ায় তা দু’ এক দিনে মধ্যে শেষ হয়ে যায়। চাষীরা সার না পেয়ে
ডিলার থেকে খুচরা পাইকারদের কাছে হন্যে হয়ে ঘুরছে। এ দৃশ্য ছিল চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত। ২৮ তারিখ থেকে কিছু চাষী সার কিনতে পারলেও দাম গুনতে হয়েছে তাদের চড়া। প্রতি বস্তা (৫০কেজি) এমও পি সরকারি মূল্য ৭৫০স্থলে ৯৫০ থেকে ১হাজার টাকা,টিএসপি ১হাজার ২০০টাকার স্থলে ১হাজার ৫০০টাকা ।

উত্তর দুরাকুটি পশ্চিম পাড়া গ্রামের আলু চাষী আবু বক্কর সিদ্দিক জানায় ৭বিঘা জমিতে আমি আগাম আলুলাগিয়েছি। টিএসপি ও এমওপি সার নিতে অনেক ধকল গেছে। চাহিদা মত জমিতে সার দিতে পারিনাই। যে পরিমান সার জমিতে প্রয়োগ করেছি তা সরকারি দামের চেয়ে অনেক বেশিদামে ক্রয় করছি । এমওপি (দানাদার)
প্রতিবস্তা সার ১হাজার ৩০০টাকা ও ডিএপি ১হাজার ১০০ টাকা করে।

এমদাদুল জানান,আমার টাগেট ছিল এবারে ৮বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করবো। কিন্তু ফসফেট ও পটাশ সারের সংকটের কারনে ৫বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। খুচরা ব্যবসায়ী নিকট থেকে ডিএপি প্রতিবস্তা ক্রয় করেছি ১হাজার ৩৫০টাকা গুড়া পটাশ ১হাজার ৫০টাকা,ইউরিয়া ১ হাজার টাকা এসব সারও অনেক চড়া দামে ক্রয় করা করেছি। এরকম অনেক চাষি জানান,সার ব্যবসায়ীরা যার কাছে যেভাবে পাচ্ছে অতিরিক্ত দাম হাতিয়ে
নিচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ বাজায়ের খুচরা ব্যাবসায়ী মের্সাস সবুজ টের্ডাসের মালিক সবুজ মিয়া বলেন, ডিলাররা এমওপি প্রতিবস্তা সারের মূল্যে নিচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০টাকা, টিএসপি প্রতিবস্তা ১হাজার৩০০ টাকা থেকে ১হাজার ৪০০টাকা আমরা পরিবহন খরচ সামঞ্জস্য রেখে প্রতিবস্তা
সারে ৫০টাকা থেকে ১০০টাকা লাভ ধরে বিক্রি করছি ।

কিশোরগঞ্জ ইউনিয়ন বিসিআইসির অনুমোদিত ডিলার মের্সাস বনজিৎ কুন্ড এন্ড সন্সের মালিক রাজীব কুন্ড বলেন, বিএডিসি ও বিসিআইসির মোট ২৮ জন ডিলার রয়েছে। উপজেলায় যে পরিমান সার বরাদ্দ পাওয়া যায় সবাই তা ভাগ
করে নেই। সেপ্টেম্বর মাসে আমি ভাগ পেয়েছি টি এসপি ২১বস্তা, ডিএপি ১২৩ বস্তা, ও এমওপি ৮৫বস্তা যা চাহিদার তুলনায় যৎসামান্য।

উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন,এ ব্যাপারে বাজার মনিটারিং করা হচ্ছে, এবং ভ্রম্যমান আদালতের মাধ্যমে সবুজ নামে এক খুচরা ব্যবসায়ীর ৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।আশা করি দু’ একদিনের মধ্যে সারের সংকট কেটে যাবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে