আসাদুজ্জামান সুজন, নীলফামারী থেকেঃ দেশের ৫৭টি সীমান্ত নদীসহ এদেশে রয়েছে চারশ’ পাঁচটি নদী। যা বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশের মোট আয়তনের প্রায় ২৫ভাগ। বর্ষা মৌসুমে পর্যায়ক্রমে বন্যা, জলোচ্ছাস, সাইক্লোন ও নদী ভাঙ্গনে পলি জমে নদীর তলদেশ হয়ে যায় ভরাট। পাশাপাশি শুকনো মৌসুমে পানির দুস্প্রাপ্রতা, খরা, লবনাক্ততা দেখা দেয়। সবমিলিয়ে নেমে গেছে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য নেয়া হয়েছে বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান-২১০০।

এর আওতায় চলতি শুকনো মৌসুমে নীলফামারীর পচানালা খাল ২১দশমিক ৮৩ কিলোমিটার, খড়খড়িয়া নদী ৭৫কিলোমিটার, ধাইজান নদী ২৮দশমিক ৩৮কিলোমিটার, দেওনাই-চাড়ালকাটা-যমুনেশ্বরী ৮০কিলোমিটার, কলমদার নদী সাত কিলোমিটার, বামনডাঙ্গা নদী ছয় দশমিক ৯০কিলোমিটার, চারা নদী ৩৫কিলোমিটার, বুড়িখোড়া নদী ৩২কিলোমিটার, সুই নদী ১২কিলোমিটার, নাউতারা নদী ২৫কিলোমিটার ও ধুম নদী ১৯কিলোমিটার খনন করা হবে। এতে ব্যয় হবে দু’শ ৭ কোটি টাকা।

এ কর্মসুচীর আওতায় গত বুধবার জলঢাকা উপজেলায় ধাইজান নদী পুন:খনন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। দরিভেজা বিল এলাকায় প্রকল্পের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন। শুন্য থেকে ১২কিলোমিটার দীর্ঘ এ কাজের চুক্তিমুল্য তিন কোটি ৫৬লাখ ১১হাজার টাকা। সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃঞ্চকমল চন্দ্র সরকার, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোফাককারুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে