জাতীয় পার্টির গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নীলফামারী জেলা ও সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সকালে জেলা জাতীয় পার্টি অফিস কার্যালয়ে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা জাপার সদস্য সচিব শাহজাহান আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা জাপার আহবায়ক আতাউর রহমান বাবুর নেতৃত্বে জাপা অফিস কার্যালয় থেকে একটি র‌্যালী বের হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে আবারো অফিস কার্যালয়ের সামনে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের আহবায়ক মাহমুদ হাসান অয়নের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় শ্রমিক পার্টির আহবায়ক বজলার রহমান, সদস্য সচিব হোসেন আলী, জেলা জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি মমিনুর রশিদ সামুন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, জেলা সেচ্ছাসেবক পার্টির আহবায়ক তরিকুল ইসলাম বাবু, জেলা জাতীয় মহিলা পার্টির আহবায়ক তৌহিদা জ্যোতি, সদস্য সচিব নাজমা শারমিন মিতু, সদর উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির আহবায়ক সুজা আলম, সদর সেচ্ছাসেবক আহবায়ক নুরুন্নবী, সদস্য সচিব আমিনুর রহমান, জাতীয় ছাত্র সমাজ সদর উপজেলার আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম, সদস্য সচিব ফারদিন খান ফাহিম, পৌর ছাত্র সমাজের আহবায়ক আলিফ জাসাইন সিদ্দিক, সদস্য সচিব আল বাশার প্রমুখ। এসময় বক্তারা তাদেও বক্তব্যে বলেন, এখন দেশের জন্য প্রয়োজন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্রের বিকাশ। গণতন্ত্রের পথে উত্তরণে ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর যে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছে- তা উপড়ে ফেলার সাধ্য আর কখনও কারও যে হবে না- সে কথাই দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে ঘোষণা করেছিলেন সেদিনের রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।’৯০-এর তথাকথিত গণআন্দোলনের মাধ্যমে এমন একটা পরিবেশ-পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল যে, তখনও আশঙ্কা ছিল গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা নস্যাৎ হওয়ার। কিন্তু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দৃঢ়তা, সাহসিকতা এবং বিচক্ষণতায় তখনও গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার পথ রুদ্ধ হয়নি। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা পেয়েছে। তার জন্য হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অসাধারণ ত্যাগ স্বীকার করেছেন- স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছেন। তাই সেদিনের স্মৃতি ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে অভিহিত হয়েছে। কিন্তু সেই শাসনের মধ্যেও ছিল গণতন্ত্রের পথ নিষ্কণ্টক যাত্রার অভিপ্রায়। জাতি সেখানে সফল হয়েছে। আবার গণতন্ত্রের পথচলা শুরু হয়েছে। ফলে আবারও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা সত্য হয়েছিল যে- বাংলাদেশের জনগণের গণতন্ত্র কেউ নস্যাৎ করতে পারবে না। সে কারণেই যেদিন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ঘোষণায় সামরিক আইনের অবসান হয়ে গণতন্ত্রের সোপান রচিত হয়েছে- সেই ১০ নভেম্বর তারিখটিই হতে পারে গণতন্ত্র দিবস। গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সব মহলেরই উচিত যথাযোগ্য মর্যাদায় গণতন্ত্র দিবস পালন করা।

BDRH/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে