biddut

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ অপরিকল্পিত বিদ্যুতায়নের ফলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ পল্লি বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) অধিকাংশ বিদ্যুৎ বিতরণ এলাকায় অপরিকল্পিত বিদ্যুতায়ন বেশি হচ্ছে। সামান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ঝড়-বৃষ্টি হলেই এসব এলাকার বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ছে। এতে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে আহত এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বিআরইবির বিতরণ এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বেশ কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত আগস্টে কিশোরগঞ্জ উপজেলার খামার গাড়াগ্রাম গ্রামে পল্লি বিদ্যুতের ছিঁড়ে পড়া তারে জড়িয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নীলফামারী পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইনসের আলী, কিশোরীগঞ্জ উপজেলার টেপারহাট পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির অভিযোগ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক আহম্মেদ ও লাইনম্যান রুবেল হোসেনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির একজন জিএম নীলফামারীনিউজ-কে বলেন, গ্রামে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা অনেক ক্ষেত্রেই ঝুঁকির মধ্যে থাকে। তিনি বলেন, রাস্তার গাছপালা মানুষ ঠিকমতো কেটে রাখে না। অনেক সময় লোকবল সংকটে পুরো বিতরণ ব্যবস্থা সমিতিগুলোর নজরদারির মধ্যে রাখা সম্ভব হয় না। ফলে হালকা বাতাস বা ঝড়-বৃষ্টিতে তার ছিঁড়ে পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি আকাশে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস অনুমান করে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখে। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও গ্রাহকদের অভিযোগের অন্ত থাকে না।

এ ছাড়া সম্প্রতি নীলফামারী সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বুলবুল আহমেদ (২৪) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে