ডেস্ক রিপোর্ট : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, নির্মাণ প্রকৌশলের উন্নয়ন, নিরাপদ নির্মাণ পরিবেশ বজায় রাখাসহ নির্মাণ খরচ কমানোর মাধ্যমে এ খাতে জনগণের আস্থা বাড়াতে হবে।
শুক্রবার বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
নির্মাণ শিল্প একটি জটিল ও অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক খাত উল্লেখ করে রাষ্টপ্রতি বলেন, নির্মাণ ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ, সম্পদের সঠিক ও দক্ষ ব্যবহার, নিয়ন্ত্রক অনুবর্তিতা পালন, সরবরাহ-শৃঙ্খলাসহ আস্থা অর্জনের ক্ষেত্রে অ্যাক্রেডিটেশন এ শিল্পকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে পারে।
তিনি বলেন, নির্মাণ শিল্পের সাথে জড়িত পরিকল্পক, স্থাপত্যবিদ, নির্মাণ প্রকৌশলী, ঠিকাদার, উৎপাদক এবং সর্বোপরি নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহের সহায়তা প্রদানই এ বছরের বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবসের লক্ষ্য। আর এ প্রেক্ষিতে বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন: ডেলিভারিং কনফিডেন্স ইন কন্সট্রাকশন এ্যান্ড দ্য বিল্ট এ্যানভায়র্নমেন্ট’ অর্থাৎ ‘স্বীকৃতি: নির্মাণ ও নির্মিত পরিবেশে আস্থা প্রদান’ খুবই সময়োপযোগী হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিভিন্ন পরীক্ষাগার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা, পরিদর্শন সংস্থাকে অ্যাক্রেডিটেশন প্রদানের ফলে দেশীয় পণ্য ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর দেশি-বিদেশি ভোক্তাদের আস্থা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, স্বচ্ছতা বজায় রেখে দ্রুত ও বিশ্বস্ততার সাথে নির্মাণ কাজ সম্পাদন করা সম্ভব হলে এ খাতে জনগণের, বিশেষ করে ক্রেতাদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং বিনিয়োগও ত্বরান্বিত হবে।
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় এবারও বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করছে জেনে তিনি দিবসটির সাফল্য কামনা করেন।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে