নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরণে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২২ উপলক্ষে মঙ্গলবার (ফেব্রুয়ারি ০১) এক বাণীতে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কিত ১৩টি বিধিবিধান তৈরি করে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরণের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত নজরদারি এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। ’

কর্মক্ষম জাতি গঠনে সব মানুষের জন্য নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই।

মেধা-মননে উৎকর্ষ ও কর্মক্ষম একটি জাতি গঠনে সব মানুষের জন্য নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে সবাইকে অঙ্গীকার করার আহ্বান জানান আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়; তেমনি অনিরাপদ খাবার গ্রহণের কারণে দেহে ক্যান্সার, কিডনি রোগ ও বিকলাঙ্গতাসহ অনেক রোগ বাসা বাঁধে। নিরাপদ খাদ্যের জন্য প্রয়োজন খাদ্য উৎপাদনে নিরাপদ প্রযুক্তি ও নিরাপদ খাদ্য উপকরণ ব্যবহার নিশ্চিত করা। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সমন্বয়ে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম আরো বেগবান করা জরুরি। ’

রাষ্ট্রপতি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২২ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে